১২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে জি-৭ জোট

রিপোর্টার
  • সময় : ০৩:৫২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৩ বার দেখেছে

‘যত দিন দরকার, তত দিন’ ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আবার জোর দিয়ে বলেছেন জি-৭ জোটের নেতারা।

আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর দিক থেকে এমন বক্তব্য আসার পর জি-৭ জোটের নেতারা ইউক্রেনকে ‘যত দিন দরকার, তত দিন’ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আবার জোরের সঙ্গে বললেন।

এক রেডিও সাক্ষাৎকারে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আগামী বছর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার ইচ্ছার কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। গতকাল শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দিক থেকে আগামী বছরের মধ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার আগ্রাসী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার সব প্রচেষ্টা করা হবে।

আগের দিন জেলেনস্কি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ, যুদ্ধ সম্ভবত ‘আগেই’ শেষ হবে।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এখনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান। যুদ্ধে ইউক্রেনের যে ভূমি রাশিয়া দখল করেছে, ট্রাম্প প্রশাসন সেসব ভূমি রাশিয়ার দখলে থেকে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি এমন কিছুই শোনেননি, যেটা তাঁদের অবস্থানের বিপক্ষে যেতে পারে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি কিয়েভ যুদ্ধে হারানো ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে দিতে রাজি হয়, তবেই কেবল মস্কো কোনো চুক্তি মেনে নেবে।

গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এই ফোনালাপে পুতিন বলেছেন, একটি চুক্তির আগে ‘মূল’ যেসব কারণে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার সমাধান করতে হবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার এই কারণের অন্তর্ভুক্ত।

প্রায় দুই বছর পর এই প্রথম পুতিন-শলৎজের মধ্যে ফোনালাপ হয়।

আরও পড়ুনঃ গাংনীতে যৌথ বাহিনীর হাতে ইউপি সদস্য আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক
এক বিবৃতিতে জি-৭ জোটের নেতারা বলেছেন, ন্যায় ও স্থায়ী শান্তির পথে এখন একমাত্র বাধা রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি আগে দেওয়া হয়েছে, তা আবার নিশ্চিত করছে জি-৭।

বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি-৭। জোটের সদস্যরা হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। পালা করে একেক দেশ জোটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে। এখন জোটের প্রেসিডেন্ট ইতালি।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। এর আগে আরও বেশি পশ্চিমা অস্ত্র ও তহবিল সংগ্রহ করার মরিয়া চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে খরচ নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতার বাকি দিনগুলোয় কিয়েভের প্রতি সমর্থন আরও জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শেয়ার করুন

ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে জি-৭ জোট

সময় : ০৩:৫২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

‘যত দিন দরকার, তত দিন’ ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আবার জোর দিয়ে বলেছেন জি-৭ জোটের নেতারা।

আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর দিক থেকে এমন বক্তব্য আসার পর জি-৭ জোটের নেতারা ইউক্রেনকে ‘যত দিন দরকার, তত দিন’ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আবার জোরের সঙ্গে বললেন।

এক রেডিও সাক্ষাৎকারে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আগামী বছর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার ইচ্ছার কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। গতকাল শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দিক থেকে আগামী বছরের মধ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার আগ্রাসী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার সব প্রচেষ্টা করা হবে।

আগের দিন জেলেনস্কি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ, যুদ্ধ সম্ভবত ‘আগেই’ শেষ হবে।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এখনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান। যুদ্ধে ইউক্রেনের যে ভূমি রাশিয়া দখল করেছে, ট্রাম্প প্রশাসন সেসব ভূমি রাশিয়ার দখলে থেকে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি এমন কিছুই শোনেননি, যেটা তাঁদের অবস্থানের বিপক্ষে যেতে পারে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি কিয়েভ যুদ্ধে হারানো ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে দিতে রাজি হয়, তবেই কেবল মস্কো কোনো চুক্তি মেনে নেবে।

গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এই ফোনালাপে পুতিন বলেছেন, একটি চুক্তির আগে ‘মূল’ যেসব কারণে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তার সমাধান করতে হবে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার এই কারণের অন্তর্ভুক্ত।

প্রায় দুই বছর পর এই প্রথম পুতিন-শলৎজের মধ্যে ফোনালাপ হয়।

আরও পড়ুনঃ গাংনীতে যৌথ বাহিনীর হাতে ইউপি সদস্য আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক
এক বিবৃতিতে জি-৭ জোটের নেতারা বলেছেন, ন্যায় ও স্থায়ী শান্তির পথে এখন একমাত্র বাধা রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি আগে দেওয়া হয়েছে, তা আবার নিশ্চিত করছে জি-৭।

বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি-৭। জোটের সদস্যরা হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। পালা করে একেক দেশ জোটের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে। এখন জোটের প্রেসিডেন্ট ইতালি।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। এর আগে আরও বেশি পশ্চিমা অস্ত্র ও তহবিল সংগ্রহ করার মরিয়া চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে খরচ নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ক্ষমতার বাকি দিনগুলোয় কিয়েভের প্রতি সমর্থন আরও জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।