০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিস্তির টাকা না বাড়িয়ে ঋণের বাড়তি সুদ আদায় করবে ব্যাংক

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৪ বার দেখেছে

বৈশ্বিক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে বাড়ছে সুদহার। ব্যাংকের ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণও বেড়ে গেছে। এতে করে অনেক গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মেয়াদি শিল্প ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়িয়ে বাড়তি সুদ আদায় করবে ব্যাংকগুলো।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান বৈশ্বিক বিরূপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের ঋণের সুদহার বেড়েছে। ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ব্যক্তিক পর্যায়ে গৃহনির্মাণ ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক বেড়েছে, যার কারণে কিস্তি দিতে গ্রাহকরা সমস্যার পড়ছেন। শিল্পায়ন ও রফতানির গতিধারা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং সীমিত আয়ের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা বজায় রেখে বিদ্যমান মেয়াদি শিল্প ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির পরিমাণ না বাড়িয়ে মেয়াদ পুনর্বিন্যাস করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বলা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত কিস্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে ঋণের কিস্তি আদায় করা হবে। কিস্তি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ বাড়ানো হলেও এসব ঋণ পুনর্গঠন হিসেবে গণ্য হবে না। বেতনভোগী চাকরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকের চাকরি হতে অবসর নেওয়ার সময়সীমার মধ্যে ব্যাংক তাদের নিজস্ব বিবেচনায় ঋণের অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি হয়নি এমন গ্রাহক এ সুবিধা পাবেন। কোনও রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের কোনও প্রণোদনা প্যাকেজ বা বিশেষ তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণ এ সুবিধা পাবে না।

ব্যাংকগুলো এ সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য সব ঋণ গ্রহীতাকে এ বিষয়ে তথ্য জানাতে হবে। এ সুবিধা নিতে ইচ্ছুক ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকে লিখিত আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুবিধা দিতে হবে।

ইসলামি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণকরত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া এই সার্কুলার জারির পরিপ্রেক্ষিতে এই বছরের ৮ এপ্রিল জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৭ এর নির্দেশনা স্থগিত করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

কিস্তির টাকা না বাড়িয়ে ঋণের বাড়তি সুদ আদায় করবে ব্যাংক

সময় : ১০:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

বৈশ্বিক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে বাড়ছে সুদহার। ব্যাংকের ঋণের কিস্তির টাকার পরিমাণও বেড়ে গেছে। এতে করে অনেক গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মেয়াদি শিল্প ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক না বাড়িয়ে কিস্তির সংখ্যা বাড়িয়ে বাড়তি সুদ আদায় করবে ব্যাংকগুলো।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান বৈশ্বিক বিরূপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের ঋণের সুদহার বেড়েছে। ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ব্যক্তিক পর্যায়ে গৃহনির্মাণ ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক বেড়েছে, যার কারণে কিস্তি দিতে গ্রাহকরা সমস্যার পড়ছেন। শিল্পায়ন ও রফতানির গতিধারা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং সীমিত আয়ের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা বজায় রেখে বিদ্যমান মেয়াদি শিল্প ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তির পরিমাণ না বাড়িয়ে মেয়াদ পুনর্বিন্যাস করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বলা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত কিস্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে ঋণের কিস্তি আদায় করা হবে। কিস্তি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ বাড়ানো হলেও এসব ঋণ পুনর্গঠন হিসেবে গণ্য হবে না। বেতনভোগী চাকরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকের চাকরি হতে অবসর নেওয়ার সময়সীমার মধ্যে ব্যাংক তাদের নিজস্ব বিবেচনায় ঋণের অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি হয়নি এমন গ্রাহক এ সুবিধা পাবেন। কোনও রূপান্তরিত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের কোনও প্রণোদনা প্যাকেজ বা বিশেষ তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণ এ সুবিধা পাবে না।

ব্যাংকগুলো এ সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য সব ঋণ গ্রহীতাকে এ বিষয়ে তথ্য জানাতে হবে। এ সুবিধা নিতে ইচ্ছুক ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকে লিখিত আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুবিধা দিতে হবে।

ইসলামি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রদত্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণকরত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া এই সার্কুলার জারির পরিপ্রেক্ষিতে এই বছরের ৮ এপ্রিল জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৭ এর নির্দেশনা স্থগিত করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।