সাত দিনই স্থলবন্দর খোলা রাখতে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা
- সময় : ০৩:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৯ বার দেখেছে
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে কিছু স্থলবন্দর সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলার রাখার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। গত মঙ্গলবার দুই দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি বা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাত দিনই স্থলবন্দর খোলা রাখতে আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত
ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও বাংলাদেশ মঙ্গলবার কয়েকটি স্থলবন্দর দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাত দিন চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক চলাচল সহজ করার বিষয়েও দুই দেশ আলোচনা করেছে।
আরো পড়ুনঃ বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (এলপিএআই) ও বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) মধ্যে অবকাঠামো সম্পর্কিত ষষ্ঠ সাব-গ্রুপ বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) তাহমিনা ইয়াসমিন এবং ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সঞ্জীব গুপ্ত।
বৈঠকে সঞ্জীব গুপ্ত ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলের দ্বিতীয় পণ্য প্রবেশদ্বারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অবকাঠামোগত সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরে তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ১৭টি স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আরো পড়ুনঃ জার্মানিতে পার্লামেন্টেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
এ ছাড়া, আলোচনায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গেদে (দর্শনা) ও মেঘালয়ের ভোলাগঞ্জ বন্দরের সুযোগ-সুবিধা উন্নয়ন, পেট্রাপোল ও আগরতলায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা এবং স্থলবন্দর ও সমন্বিত চেকপোস্টগুলোর উন্নয়ন অগ্রাধিকার প্রাধান্য পেয়েছে। এর বাইরে পশ্চিমবঙ্গের গোজাডাঙ্গা ও বাংলাদেশের ভোমরায় একটি যৌথ পণ্য প্রবেশপথ স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রযাত্রায় সম্মিলিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে শেষ হয়।