মহাকাশে অসুখ হলে কী করেন নভোচারী?
- সময় : ০৪:২১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৮৭ বার দেখেছে
গবেষণার জন্য প্রায়ই নভোচারীরা মহাকাশে যান। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্ট্রেশন ও চিনের তিয়ংগং মহাকাশ স্টেশনে সববময় কয়েজন নভোচারী থাকেন। যদিও সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুরিক্ষত, জীবাণুমুক্ত, তারপরও সেখানে নভোচারীরা মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তখন কী করেন তাঁরা?
পৃথিবীর মতো সেখানে হাসপাতাল থাকে না।
থাকেন না চিকিসকও। মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে চিকিৎসা করাও বেশ কঠিন। তারপরও কিছু উপায় রয়েছে। কী উপায়? সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব এখন।
নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার আগে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসাবিদ্যা বা ফার্স্ট এইডের উপর প্রশিক্ষিণ নেন। অসুখ-বিসুখের সময় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া বা নেওয়া সম্ভব হয়, ততটুকু চিকিৎসা-জ্ঞান তাঁদের থাকে।
প্রতিটি মহাকাশযানে একটি বিশেষ মেডিকেল কিট থাকে।তাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম থাকে। এসব কিটে থাকে ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডেজ এবং ইনজেকশন দেওয়ার সরঞ্জাম।অবস্থা গুরতর মনে করলে নভোচারীরা পৃথিবীর চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ভিডিও কলে বা বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাক্তাররা তাদের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার পরামর্শ দেন পৃথিবীর চিকিৎসকেরা। মহাকাশের প্রযুক্তি এত উন্নত যে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর চিকিৎসকরা তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারেন।মহাকাশে ওজনহীন অবস্থায় শরীরিক পরীক্ষা করা কঠিন। এজন্য বিশেষ মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। যেমন, অতি ক্ষুদ্র পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন, পোর্টেবল আল্ট্রাসাউন্ড এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা স্টেথোস্কোপ থাকে—এগুলো ওজনহীন অবস্থাতেও কার্যকরী।
জটিল রোগ বা চোটের ক্ষেত্রে রোবটিক সার্জারির ব্যবস্থাও রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত রোবটিক সার্জারি প্রযুক্তি মহাকাশে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে পৃথিবীর চিকিৎসকরা রোবট নিয়ন্ত্রণ করে মহাকাশে নভোচারীদের অপারেশন করতে পারবেন।
মহাকাশের একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্ন পরিবেশে মানসিক চাপ বাড়ে। তা এক সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। নভোচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পৃথিবী থেকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং কিছু থেরাপির ব্যবস্থাও করা হয়।যদি অসুখ খুব গুরুতর হয় এবং মহাকাশে চিকিৎসা সম্ভব না হয়, তাহলে নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে থাকলে তারা দ্রুতই পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন।