তুরস্কের ‘আয়রন ডোম’ নির্মাণের উদ্যোগ
- সময় : ০৩:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৬৫ বার দেখেছে
ইসরাইলের আকাশপ্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত বিষয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এ নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। এবার ইসরাইলের ‘আয়রন ডোমের’ আদলে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে তুরস্ক। এমন ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদােগান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আঙ্কারায় তুর্কি এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, যদি তাদের (ইসরাইল) একটি ‘আয়রন ডোম’ থাকে, তবে আমাদেরও ‘স্টিল ডোম’ থাকবে। আমরা চেয়ে থাকব না, বরং নিজেদের রক্ষার ব্যবস্থা তৈরি করব।
ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুরস্কও এই ধরনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।
এরদোয়ান আরও বলেন, আমরা আমাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও বাড়াব। প্রতিরক্ষা শিল্পে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।
প্রথম দিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনকামী গোষ্ঠী হামাসের ছোড়া রকেটগুলো আটকানোর জন্য আরয়ন ডোম তৈরি করেছিল ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম ২০১১ সালে এটি তৈরি করে দিয়েছিল। রাডার নির্দেশিত এ ব্যবস্থাটি স্বল্প–পাল্লার রকেট, মর্টার ও ড্রোনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। । ২০১৭ সালে এই ব্যবস্থার নৌসংস্করণও চালু করা হয়। যা জাহাজ ও সাগরভিত্তিক স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষা দিতে ব্যবহৃত হয়।
এর আগে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ছাড়া তুরস্ককে এফ-৩৫ স্টেলথ ফাইটার জেট প্রোগ্রাম থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে তুরস্ক নির্মাতা ও ক্রেতা উভয় ভূমিকায় ছিল।
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে তুরস্ক বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র ড্রোন নির্মানের শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে এবং নিজেদের প্রযুক্তিতে নিজস্ব প্রতিরক্ষা চাহিদার বেশিরভাগ উত্পাদন করে।