১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাসরুর রিয়াজ

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০ বার দেখেছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাসরুর রিয়াজ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৩ আগস্ট বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তাঁর এই নিয়োগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাদের একাংশ আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির মুখে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে বিএসইসির কর্মকর্তারা তাঁদের আপত্তি প্রত্যাহার করেন।

নিয়োগের পর একটি পক্ষ সামাজিক মাধ্যমে মাসরুর রিয়াজের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাঁর সখ্য। মূলত একটি ছবি কেন্দ্র করে এই প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর বিএসইসির একটি পক্ষও তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলে। এই পরিস্থিতিতে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে মাসরুর রিয়াজ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারব। অর্থনীতিবিদ হিসেবে সামগ্রিক অর্থনীতি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত–সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নেমেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করছে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাসরুর রিয়াজ

সময় : ১০:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাসরুর রিয়াজ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৩ আগস্ট বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তাঁর এই নিয়োগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাদের একাংশ আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির মুখে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে বিএসইসির কর্মকর্তারা তাঁদের আপত্তি প্রত্যাহার করেন।

নিয়োগের পর একটি পক্ষ সামাজিক মাধ্যমে মাসরুর রিয়াজের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাঁর সখ্য। মূলত একটি ছবি কেন্দ্র করে এই প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর বিএসইসির একটি পক্ষও তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলে। এই পরিস্থিতিতে তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে মাসরুর রিয়াজ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারব। অর্থনীতিবিদ হিসেবে সামগ্রিক অর্থনীতি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত–সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নেমেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করছে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।