০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ণাঢ্য এক জীবন ছিল জাকারিয়া পিন্টুর

রিপোর্টার
  • সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৯ বার দেখেছে

দেশের কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ জাকারিয়া পিন্টু। ১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জন্ম। খুব অল্প বয়সেই ফুটবলে হাতেখড়ি ওস্তাদ গোলাম কিবরিয়া কাছে। সেই সময় নওগাঁয় ফুটবলে তেমন রমরমা ছিল না। নওগাঁ থেকে চলে আসেন বরিশালের মঠবাড়িয়ায়, হাইস্কুলে ভর্তি হন পিন্টু। ১৯৫৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় আন্তঃস্কুল দলের অধিনায়ক হন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পিন্টু মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৫৮ সালে ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। সে সময় কলেজের ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন, তার নেতৃত্বেই জগন্নাথ কলেজ আন্তঃকলেজ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও কলেজের হয়ে তার দল গভর্নরস কাপ স্যার এফ রহমান শীল্ডেও শিরোপা জয় করে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। সেখানে তার নেতৃত্বে বিএম কলেজ শের-এ-বাংলা শীল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং আন্তঃকলেজ ফুটবলে রানার্সআপ হয়। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দল এবং সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট পাকিস্তান জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এর মধ্যেই ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল দল ইস্টএন্ড ক্লাবের ট্রায়ালে আমন্ত্রণ পান পিন্টু। ট্রায়ালে তার পায়ের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ দিয়ে দেন নির্বাচকরা। তাতে ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে তিনি ইস্টএন্ড ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৯৫৮ সালে যোগ দেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে। তিন বছর এই ক্লাবটিতে তিনে হাফব্যাক হিসেবে খেলেন। তিনি থাকা অবস্থাতেই ১৯৬০ সালে ওয়ান্ডারার্স ঢাকা লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

পরে ১৯৬১ সালে পিন্টু যোগ দেন দেশের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডানে। প্রথম বছরেই মোহামেডান লীগ, স্বাধীনতা দিবস ও বরিশালের শের-এ-বাংলা শীল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর টানা ১৪ বছর ক্লাবটির হয়ে মাঠ মাতান তিনি। এর মধ্যে মোহামেডান ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া মোহামেডান আগা খান গোল্ডকাপে ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক। ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তান দলের হয়ে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমবারের মতো অংশ নেন পিন্টু।

আরো পড়ুনঃ নিখোঁজের ১৫ দিন পর ডোবায় মিলল দোকানির মরদেহ

করাচিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দল চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬২ সালে এশিয়ান যুব ফুটবলে খেলার জন্য পাকিস্তান দলেও ডাক পেলেও যাওয়া হয়নি। ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার গৌরব অর্জন করেন। পাকিস্তান দলের হয়ে তুরস্কের আরসিডি ট্রফি খেলতে যান। ১৯৭০ সালে নেপালে কিং মহেন্দ্র কাপ ফুটবলে পূর্ব পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেন। সেবারই প্রথম পূর্ব পাকিস্তান দল বিদেশ থেকে কাপ জিততে সক্ষম হয়।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় সেসময় কোলকাতায় গঠিত বাংলাদেশ একাদশেরও অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয় তাকে। ১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি একাদশ এবং বাংলাদেশ একাদশের মধ্যে ঢাকা স্টেডিয়ামে প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পিন্টু বাংলাদেশ একাদশের নেতৃত্ব দেন। সফরকারী কোলকাতা মোহনবাগানের সঙ্গে খেলায় তিনি বাংলাদেশ নির্বাচিত একাদশের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭২ সালেই আসামের গৌহাটিতে সর্ব ভারতীয় লোকপ্রিয় বরদুলাই শীল্ড ফুটবলে তার নেতৃত্বে ঢাকা একাদশ অংশ নেয়। ওই টুর্নামেন্টে পিন্টু সেরা খেলোয়াড় হন। এরপর ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯তম মারদেকা ফুটবলে প্রথমবারের মত অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই দলেরও নেতৃত্ব দেন তিনি।

ফুটবল ছাড়ার পর ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে পিন্টু কিছুদিন মোহামেডানের কোচ ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফুটবল প্রশিক্ষণের উপর স্বল্পমেয়াদী ডিপ্লোমা লাভ করেন। পরে ১৯৭৯ সালে বাফুফের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সফরকারী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ। ১৯৮০ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত ৭ম এশিয়ান কাপ ফুটবলে ছিলেন ম্যানেজার।

১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পরিচালক (ক্রীড়া) ছিলেন। ১৯৯৫ সালে ভারতের মাদ্রাজে সপ্তম সাফ গেমসে এবং ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নবম সাফ গেমসে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ডেপুটি শেফ-ডি-মিশন ছিলেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সাফ গেমস এবং ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ বাংলাদেশ গেমসে মশাল প্রজ্জ্বলন করেন।

পিন্টু ১৯৭৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার এবং ১৯৯৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পান। এক জীবনে একজন মানুষ যে সম্মান, স্বীকৃতি ও ভালবাসা পেতে পারেন, তার সর্বোচ্চটুকু তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তার মতে তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে গঠিত বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করা। ইতিহাসের পাতায় সেই ফুটবল দলের কথা নিশ্চয়ই চিরকাল স্মরিত হবে, সেসময় বারবার উচ্চারিত হবে ঐ দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর নামও।

শেয়ার করুন

বর্ণাঢ্য এক জীবন ছিল জাকারিয়া পিন্টুর

সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

দেশের কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ জাকারিয়া পিন্টু। ১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জন্ম। খুব অল্প বয়সেই ফুটবলে হাতেখড়ি ওস্তাদ গোলাম কিবরিয়া কাছে। সেই সময় নওগাঁয় ফুটবলে তেমন রমরমা ছিল না। নওগাঁ থেকে চলে আসেন বরিশালের মঠবাড়িয়ায়, হাইস্কুলে ভর্তি হন পিন্টু। ১৯৫৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় আন্তঃস্কুল দলের অধিনায়ক হন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পিন্টু মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৫৮ সালে ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে। সে সময় কলেজের ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন, তার নেতৃত্বেই জগন্নাথ কলেজ আন্তঃকলেজ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও কলেজের হয়ে তার দল গভর্নরস কাপ স্যার এফ রহমান শীল্ডেও শিরোপা জয় করে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। সেখানে তার নেতৃত্বে বিএম কলেজ শের-এ-বাংলা শীল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং আন্তঃকলেজ ফুটবলে রানার্সআপ হয়। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দল এবং সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট পাকিস্তান জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এর মধ্যেই ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় বিভাগের ফুটবল দল ইস্টএন্ড ক্লাবের ট্রায়ালে আমন্ত্রণ পান পিন্টু। ট্রায়ালে তার পায়ের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ দিয়ে দেন নির্বাচকরা। তাতে ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে তিনি ইস্টএন্ড ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৯৫৮ সালে যোগ দেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে। তিন বছর এই ক্লাবটিতে তিনে হাফব্যাক হিসেবে খেলেন। তিনি থাকা অবস্থাতেই ১৯৬০ সালে ওয়ান্ডারার্স ঢাকা লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

পরে ১৯৬১ সালে পিন্টু যোগ দেন দেশের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডানে। প্রথম বছরেই মোহামেডান লীগ, স্বাধীনতা দিবস ও বরিশালের শের-এ-বাংলা শীল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর টানা ১৪ বছর ক্লাবটির হয়ে মাঠ মাতান তিনি। এর মধ্যে মোহামেডান ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া মোহামেডান আগা খান গোল্ডকাপে ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক। ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তান দলের হয়ে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথমবারের মতো অংশ নেন পিন্টু।

আরো পড়ুনঃ নিখোঁজের ১৫ দিন পর ডোবায় মিলল দোকানির মরদেহ

করাচিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দল চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬২ সালে এশিয়ান যুব ফুটবলে খেলার জন্য পাকিস্তান দলেও ডাক পেলেও যাওয়া হয়নি। ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলার গৌরব অর্জন করেন। পাকিস্তান দলের হয়ে তুরস্কের আরসিডি ট্রফি খেলতে যান। ১৯৭০ সালে নেপালে কিং মহেন্দ্র কাপ ফুটবলে পূর্ব পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেন। সেবারই প্রথম পূর্ব পাকিস্তান দল বিদেশ থেকে কাপ জিততে সক্ষম হয়।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় সেসময় কোলকাতায় গঠিত বাংলাদেশ একাদশেরও অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয় তাকে। ১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি একাদশ এবং বাংলাদেশ একাদশের মধ্যে ঢাকা স্টেডিয়ামে প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পিন্টু বাংলাদেশ একাদশের নেতৃত্ব দেন। সফরকারী কোলকাতা মোহনবাগানের সঙ্গে খেলায় তিনি বাংলাদেশ নির্বাচিত একাদশের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭২ সালেই আসামের গৌহাটিতে সর্ব ভারতীয় লোকপ্রিয় বরদুলাই শীল্ড ফুটবলে তার নেতৃত্বে ঢাকা একাদশ অংশ নেয়। ওই টুর্নামেন্টে পিন্টু সেরা খেলোয়াড় হন। এরপর ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯তম মারদেকা ফুটবলে প্রথমবারের মত অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই দলেরও নেতৃত্ব দেন তিনি।

ফুটবল ছাড়ার পর ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে পিন্টু কিছুদিন মোহামেডানের কোচ ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফুটবল প্রশিক্ষণের উপর স্বল্পমেয়াদী ডিপ্লোমা লাভ করেন। পরে ১৯৭৯ সালে বাফুফের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সফরকারী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ। ১৯৮০ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত ৭ম এশিয়ান কাপ ফুটবলে ছিলেন ম্যানেজার।

১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পরিচালক (ক্রীড়া) ছিলেন। ১৯৯৫ সালে ভারতের মাদ্রাজে সপ্তম সাফ গেমসে এবং ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নবম সাফ গেমসে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ডেপুটি শেফ-ডি-মিশন ছিলেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সাফ গেমস এবং ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ বাংলাদেশ গেমসে মশাল প্রজ্জ্বলন করেন।

পিন্টু ১৯৭৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার এবং ১৯৯৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার পান। এক জীবনে একজন মানুষ যে সম্মান, স্বীকৃতি ও ভালবাসা পেতে পারেন, তার সর্বোচ্চটুকু তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তার মতে তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে গঠিত বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করা। ইতিহাসের পাতায় সেই ফুটবল দলের কথা নিশ্চয়ই চিরকাল স্মরিত হবে, সেসময় বারবার উচ্চারিত হবে ঐ দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর নামও।