দেশের কনিষ্ঠতম এয়ারলাইন হিসেবে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পেলো বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার অ্যাস্ট্রা। এয়ার অ্যাস্ট্রা কমার্শিয়াল ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার মাত্র ২০ মাসের মধ্যে এই মর্যাদা অর্জন করেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) কর্তৃক প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট, যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে।

সোমবার (১২ আগস্ট) অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) সাকিব হাসান শুভর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দশকে আইওএসএ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইনসের অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল্যায়ন করার জন্য সবচেয়ে স্বীকৃত সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, নন-আইওএসএ এয়ারলাইনগুলো আইওএসএ নিবন্ধিত এয়ারলাইনগুলোর তুলনায় তিন গুণ বেশি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা কমার্শিয়াল ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার মাত্র ২০ মাসের মধ্যে এই মর্যাদা অর্জন করেছে। আইওএসএ এয়ারলাইন হিসেবে এয়ার অ্যাস্ট্রা কেবল বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী এয়ারলাইনই নয়, বিশ্বের কনিষ্ঠ বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যেও পরিণত করেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএসএ) কঠোর মানদণ্ড অনুযায়ী নিরিক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অডিট অর্গানাইজেশন আরগস প্রস ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ার অ্যাস্ট্রার অডিট সম্পন্ন করে।

এই মাইলফলক সম্পর্কে এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, ‘বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রথম দিকেই এয়ার অ্যাস্ট্রার আইওএসএ নিবন্ধনের প্রয়াস আমাদের ফ্লাইটের যাত্রীদের নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যাতে যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে ভ্রমণ করার সময় মানসিক শান্তি নিয়ে নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন।’

এয়ার অ্যাস্ট্রা বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার অ্যাস্ট্রার বহরে বর্তমানে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপদ টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট।