গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি। আজ আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি’র একটি প্রতিনিধি দল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খোঁজ নিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক্স ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) যান।
হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফ করেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক।
ব্রিফিংকালে জনাব মঞ্জু বলেন, আহতদের অবস্থা আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। হাসপাতালে হাত, পা, বুকে গুলিবিদ্ধদের কাতর আহাজারিতে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন। চিকিৎসকরা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজে এসে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার সার্বিক দায়ভার গ্রহণ করার কথা বলেছেন।
মঞ্জু বলেন, আহত পঙ্গুরা নতুন বাংলাদেশে সৃষ্টির নায়ক, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু আহতদের সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকেই দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের নেতৃত্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিষয়ে সার্বিকভাবে সমন্বয় কাজ চলমান আছে।
তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা, রাস্তা পরিস্কার, বিপ্লবের গ্রাফিতি অংকনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো হাসপাতালে যেসকল লাশ ও আহ্তরা আছে তাদের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালন করা। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা ও পুণর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক মনিটরিং সেল গঠনের জন্য ছাত্রদের প্রতি পরামর্শ দেন।