বারবার ফ্যাসিস্ট বলা পছন্দ করি না, আমি কোনো মৌলবাদী মুসলমান নই
- সময় : ০৪:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ২০ বার দেখেছে
তাদেরকে বার বার ফ্যাসিজম আর ফ্যাসিস্ট বলা আমি পছন্দ করি না, কারণ এরাওতো আমাদের পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) লন্ডনে একটি স্থানীয় হলে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ (বিবিসিসিআই)-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন।
বিবিসিসিআই -এর প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন , আমি কোনো মৌলবাদী মুসলমান নই আর আমি কোনো মৌলবাদী না এবং মৌলবাদী কোনো খারাপ জিনিস নয়। মূল না থাকলে গাছের অস্তিত্ব টিকবে না মূল আমাদের লাগবে তবে যে সেন্সে মৌলবাদ স্টিগমাটা দেয়া হয় আমি ওই মৌলবাদী মুসলমান না। আমরা ইউনাইটেড বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমি বারবার ফ্যাসিজম আর ফ্যাসিস্ট বলা পছন্দ করিনা কারণ এরাওতো আমাদের পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য।
জামায়াতে আমীর বলেন, ভুল মানুষই করে , দুর্নীতিও মানুষ করতে পারে। ভুল যে করবে সে ক্ষমা চাইবে , দুর্নীতি যারা করবে তারা শাস্তি পাবে। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সে শাস্তি পাবে কোনো অবিচার করে নয়। কারো উপরে জুলুম করে নয়। বার বার তাদের গালি দিতে হবে আমি এটাকে ভালো মনে করি না। এজন্য আমি বলবো অতীতে যারা রাজনীতি করে গেছেন তারা ভুল করুক আর শুদ্ধ করুক তারাতো করে গেছেন ,এখন আমরা কি করবো সেটা ভাবি। শুধু তাদের পেছনে পড়ে থাকলে আমাদের লাভ কী হবে? তারা যা করেছেন এর সাক্ষী জাতি হয়ে গেছে। জাতি বিচার করবে তাদের কী করবে না করবে। এখন কথা হলো জাতির জন্য আমরা কী করবো ?
আরো পড়ুনঃ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস
তিনি আরো বলেন, আমরা জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে নয় একটি পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে বলছি যে, এমন একটি বাংলাদেশ চাই , ধর্ম বর্ণ , দল-মত কোনো কিছুতেই ডিসপ্যারিটি থাকবে না, তা উচিত নয়। একজন নাগরিক জন্ম নেয়ার পর সে কোন ধর্মের কোন বর্ণের তা বিবেচ্য বিষয় নয় তবে ভাবতে হতে সে বাংলদেশি নাগরিক, এটাই তার বড় পরিচয়।
আমি বার বার একটি কথা বলে আসছি যদি মসজিদ পাহারা দেয়ার দরকার না হয় তাহলে মন্দির পাহারা দেয়া লাগবে কেন ? নিশ্চয় এমন একটি কাজ আমরা করেছি যার কারণে মন্দির পাহারা দেয়া লাগে। সে কারণটি দূর করতে হবে। যাতে কারোই কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা দেয়া না লাগে।