‘আমাকে জামায়াতের রোকন বানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে’
- সময় : ০৫:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৩ বার দেখেছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও সন্ত্রাসী ভাড়া করে ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে তার মা শামসুন্নাহার তসলিম নিজের নাগরিক অধিকার এবং বাড়ি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
শামসুন্নাহার তসলিম বলেন, আমি আমার মানবাধিকার চাই, নাগরিক অধিকার চাই। গ্রামের বাড়িতেও যেতে দেওয়া হয় না। এলাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করে রেখেছে। তার নামে ফাউন্ডেশন খুলে সেই সন্ত্রাসীরা আমাকে ভয় দেখায়। আমাকে জামায়াতের রোকন বানিয়ে লিফলেট বিতরণ পর্যন্ত করেছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে এসেছিলাম। সরকারের কাছে আমার ন্যায্য বিচার চেয়েছিলাম। মানুষ হিসেবে আর্তনাদ করেছিলাম। আমি চাই এই শেষ বয়সে যেন সুচিকিৎসায়, সুস্থভাবে থাকতে পারি। কারও কাছে হাত পাতিনি, কারো কাছে আশ্রয় চাইনি। শুধু একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমার নাগরিক অধিকার চেয়েছিলাম। তখন আমার কিডনি ৬৫ ভাগ কাজ করছিল এখন দুটো কিডনি অকেজো।
তিনি বলেন, আমার এখন একদিন পরপর ডায়ালাইসিস করা লাগে। দিনাজপুরের বাবার ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়েছি। সব সত্য বলছি। অথচ তুরিন আফরোজ মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে সংবাদ সম্মেলন করার ফলে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তুরিন নিজে আমার নামে বিভিন্ন মাধ্যমে কুৎসা রটিয়েছে। তুরিন বলেছে আমাকে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে হবে, গতবার আমি যে সংবাদ সম্মেলন করেছি তখন আমার মাথা খারাপ ছিল, উল্টাপাল্টা বলেছি। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার জন্য বলেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর আমি তো মানসিকভাবে সুস্থ। এগুলো বললেই নাকি আমি আমার অধিকার ফিরে পাব।
আরো পড়ুনঃ আদানি-মণিপুর ইস্যুতে হট্টগোল, প্রথম দিনই মুলতবি ভারতের সংসদ
তুরিনের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার থাকার জায়গা বাড়ি-ঘর সে দখল করে রেখেছে। পারিবারিক জীবনে নানা জটিলতার জন্য সে আমার কাছে থাকতে চেয়েছিল। তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে আবার আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল। এক বছর আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে স্বাধীনতার পরেও বীরদর্পে সে বাসা দখল করে আছে। আমি আজকে এখানে, কালকে ওখানে থাকি। আত্মীয়র বাসায় থাকলেও সেখানে লোক পাঠায়, ভয়-ভীতি দেখায়।