বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মোহাম্মদ কাজল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কাজল মিয়াকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠানোর জন্য শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের খরচ হয়েছে ৬৪ লাখ টাকা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও জানান, আহতদের মধ্যে একজন নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগামী দু–এক দিনের মধ্যেই তাকেও বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আরও ২০–২৫ জনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে সাতজনকে তুরস্কে পাঠানো হবে, যাদের মধ্যে তিনজন চোখের এবং চারজন অর্থোপেডিকস সমস্যায় ভুগছেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসকেরা এসে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন। ফ্রান্স, নেপাল, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকেরা এই সেবায় অংশ নেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আসা চিকিৎসকেরা ৯৩ জন আহতকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ১৮ জনের অপারেশন সম্পন্ন করেন।
আরো পড়ুনঃ ২০ মাস পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
বিদেশি চিকিৎসকেরা বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।