০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন’

রিপোর্টার
  • সময় : ০৩:০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫ বার দেখেছে

চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রতিক্রিয়াধীন রয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে হাজির করার পর শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ক্ষমতায় এসে পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ। ব্লাকআউট করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন শেখ হাসিনা। আর এই ১৩ আসামি ছিলেন তার সহযোগী।

আরো পড়ুনঃব্যক্তিগত বিষয়ে সতর্ক করলেন সারজিস
তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই, যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা, অঙ্গহানিসহ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে।

শুনানি শেষে ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

শেয়ার করুন

‘হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন’

সময় : ০৩:০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রতিক্রিয়াধীন রয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে হাজির করার পর শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ক্ষমতায় এসে পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ। ব্লাকআউট করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন শেখ হাসিনা। আর এই ১৩ আসামি ছিলেন তার সহযোগী।

আরো পড়ুনঃব্যক্তিগত বিষয়ে সতর্ক করলেন সারজিস
তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই, যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা, অঙ্গহানিসহ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে।

শুনানি শেষে ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।