০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়

রিপোর্টার
  • সময় : ০৪:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৬ বার দেখেছে

ব্যবসা পরিচালনায় ঘুষের কারবার আরও বেড়েছে দেশে। ৫৭ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ী মনে করেন, কর সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়। আগের বছর এ অভিযোগ ছিল ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যবসায়ীর।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি পরিচালিত এক্সিকিউটিভ ওপেনিয়ন সার্ভে– ইওএস প্রতিবেদনে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। ওয়ালর্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে। এতে সেবা খাত, শিল্প ও কৃষি খাতের দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের মতামত দেন।

আরো পড়ুনঃ করোনাকালে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধনে
‘বাংলাদেশের ব্যবসা পরিবেশ এবং প্রক্রিয়া; অর্ন্তবর্তী সরকারের জন্য এজেন্ডা’ শিরোনামের এক সংলাপে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল ব্র্যাক ইনে এ আয়োজনে সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও দেশি বিদেশি উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ পরিচালনা করেন।

জরিপ পরিচালনতায় নেতৃত্ব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি বলেন, ঘুষের প্রকৃত চিত্র হয়তো প্রতিবেদনে উঠা আসা তথ্যের চেয়ে বেশি। গত ৮ আগস্ট গঠিত বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার সংস্কার এজেন্ডা নিয়েছে। গত সরকারের সময় ব্যবসা পরিবেশে লক্ষণীয় উন্নতি হয়নি। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে ব্যবসা-বাণিজ্য কুক্ষিগত ছিল। বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা ছিল। ব্যবসা পরিচালনায় দুর্নীতি, আমলাদের অদক্ষতা, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতিসহ ১৭ ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়

সময় : ০৪:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ব্যবসা পরিচালনায় ঘুষের কারবার আরও বেড়েছে দেশে। ৫৭ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ী মনে করেন, কর সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়। আগের বছর এ অভিযোগ ছিল ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যবসায়ীর।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি পরিচালিত এক্সিকিউটিভ ওপেনিয়ন সার্ভে– ইওএস প্রতিবেদনে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। ওয়ালর্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে। এতে সেবা খাত, শিল্প ও কৃষি খাতের দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের মতামত দেন।

আরো পড়ুনঃ করোনাকালে নিয়োগ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধনে
‘বাংলাদেশের ব্যবসা পরিবেশ এবং প্রক্রিয়া; অর্ন্তবর্তী সরকারের জন্য এজেন্ডা’ শিরোনামের এক সংলাপে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল ব্র্যাক ইনে এ আয়োজনে সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও দেশি বিদেশি উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ পরিচালনা করেন।

জরিপ পরিচালনতায় নেতৃত্ব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি বলেন, ঘুষের প্রকৃত চিত্র হয়তো প্রতিবেদনে উঠা আসা তথ্যের চেয়ে বেশি। গত ৮ আগস্ট গঠিত বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার সংস্কার এজেন্ডা নিয়েছে। গত সরকারের সময় ব্যবসা পরিবেশে লক্ষণীয় উন্নতি হয়নি। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে ব্যবসা-বাণিজ্য কুক্ষিগত ছিল। বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা ছিল। ব্যবসা পরিচালনায় দুর্নীতি, আমলাদের অদক্ষতা, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতিসহ ১৭ ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা।