Site icon আপনার বার্তা

স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন ছাত্র-শিক্ষকরা: প্রধান উপদেষ্টা

#image_title

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন: ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।

আরো পড়ুনঃ ২৭তম বিসিএসের বঞ্চিত ১,১১৪ জনের রিভিউ শুনবেন আপিল বিভাগ

শুনেছি কার্জন হলে পঠন-পাঠনের কাজের ভেতরেই নবীন অধ্যাপক বসুর কাছে নতুন কোয়ান্টাম থিওরির শুরুর মধ্যে যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল, তার থেকেই ওই আবিষ্কারের চিন্তাটি তার মাথায় এসেছিল। অখ্যাত জায়গার অখ্যাত এই বিজ্ঞানীর এই অদ্ভুত আবিষ্কারের কথা দুনিয়ার কোন জার্নাল ছাপতে যাবে? কিন্তু নিজের কাজের ওপর অত্যন্ত আস্থাশীল বসু সোজা সেদিনের দুনিয়ায় সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কাছে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিলেন এ আবিষ্কার নিয়ে তার ছোট্ট প্রবন্ধটি। সঙ্গে চিঠি দিলেন, নিজের পরিচয় দিলেন— আমি আপনার সরাসরি ছাত্র না হলেও, আপনার ভাব-শিষ্য, এই বলে। আইনস্টাইন চট করে বুঝে ফেললেন এ কোনো সাধারণ আবিষ্কার নয়। এর সঙ্গে নিজেরও একটি বাড়তি ধারণা যোগ করে এবং প্রবন্ধটি নিজের হাতে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে পদার্থবিদ্যার বিখ্যাত জার্নালে পাঠিয়ে দিলেন। সেই থেকে এটি বোস-আইনস্টাইন থিওরি, বলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজেদের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারব- যেমন আস্থা বসুর ছিল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং কলকাতার শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পার্থ ঘোষ প্রমুখ।

Exit mobile version