সাগর-রুনি হত্যাসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের
- সময় : ০৮:০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৫ বার দেখেছে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডসহ দেশে সাংবাদিকদের ওপর যত নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ। সেখানেই এ কথা বলেন তিনি। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটি খুবই বেদনাদায়ক ও নির্মম। এর বিচার নিয়ে কী ধরনের প্রহসন করা হয়েছে, তা সবাই জানেন। এ হত্যাকাণ্ডসহ সাংবাদিকদের ওপর যত রকম নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যা যা করণীয়, তা তাঁরা করবেন।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান মন্ত্রণালয়ে থাকবে না উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিনিষেধ নিয়ে যে সমালোচনা রয়েছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে, যাতে বাক্স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত না হয়।
স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের কথা ভাবছেন জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কী ধরনের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সামনের বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না। আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, তাহলে মানুষের বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
সেন্সর বোর্ডের কমিটিগুলো দ্রুততম সময়ে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনও পুনর্বিবেচনা করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকদের বেতনকাঠামো নিয়ে অনেক অসন্তোষ রয়েছে। মেধাবীদের উৎসাহিত করতে না পারলে সাংবাদিকতা এগোবে না। মিডিয়ায় যাঁরা রিপোর্টার এবং জুনিয়র লেভেলে কাজ করেন, তাঁদের বেতন অত্যন্ত কম। অনেক ক্ষেত্রে বেতনকাঠামো মানাও হয় না। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রয়োজন।’
কর্মকর্তাদের তাঁকে ‘স্যার’ না বলতে অনুরোধ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে এখানে এসেছি। আমি জনগণের পক্ষ থেকে এসেছি, জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে এসেছি। এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। আমি আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই।’