অতিরিক্ত ‘স্ক্রিনিং টাইম’ থেকে ত্বকের ক্ষতি পুনরুদ্ধারের পন্থা
- সময় : ০৬:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১ বার দেখেছে
প্রতিনিয়ত কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারে শুধু চোখের ক্ষতি হয় না, সাথে ত্বকেও বাজে প্রভাব ফেলে।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দা থেকে বের হওয়া নীল আলো ত্বকে সূক্ষ্ম বলিরেখা, বয়স্কভাব, ‘হাইপারপিগমেন্টেইশন’ ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে।
‘জার্নাল অফ বায়োকেমিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ে ২০১৮ সালে প্রকাশিত ইরানের ‘শিরাজ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সায়েন্সস’য়ের গবেষণার ফলাফলে বলা হয়- ঘণ্টাখানেক নীল আলোক রশ্মির সংস্পর্শে থাকার কারণে অক্সিজেনের যে বিক্রিয়া ঘটে সেটা থেকে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এই ক্ষতি পুনরুদ্ধারের পন্থাও রয়েছে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম কম হলে ত্বকের সুরক্ষক আরোগ্য লাভের সময় কম পায়। ফলে ত্বক আর্দ্রতা হারানোর পাশাপাশি পারিবেশগত দূষণ থেকে রক্ষা পায় না।
‘ক্লিনিকাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি হসপিটাল্স কেস মেডিকেল সেন্টার’য়ের করা গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ত্বকের সুরক্ষক সেরে উঠতে সময় নেয়।
তাই অকালে বয়সের ছাপ এড়াতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
রাতে সব ধরনের যন্ত্র থেকে দূরে থাকা
যদি কাজের জন্য সারাদিন কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয় তবে রাতে অন্তত ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পর্দা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এতে নীল আলোর সংস্পর্শে আসার পরিমাণ কমবে।
এটা শুধু ঘুমের মানই উন্নত করবে না, পাশাপাশি ত্বক দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি থেকেও বাঁচবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
‘আয়রন অক্সাইড’ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন নীল আলো থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া ভিটামিন সি সেরাম ব্যবহারে পরিবেশগত দূষণের কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে তোলা যায়।
ফেইস মাস্ক
মধু, অ্যালো ভেরা বা দই দিয়ে তৈরি ফেইস মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা ফেরায়, পুষ্টি যোগায়।
শসার টুকরা ব্যবহারে চোখের নিচে কালচেভাব দূর করার পাশাপাশি আরাম দেয়। ভেজানো ‘টি-ব্যাগ’ চোখের ওপর ব্যবহারে ফোলাভাব কমে।
এছাড়া পালংশাকের মতো পত্রল সবজি, বাদাম, বীজ, ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এগুলো ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।