১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে শিশুদের জ্বর-সর্দিকাশি থেকে যেভাবে দূরে রাখবেন

রিপোর্টার
  • সময় : ০৩:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৭ বার দেখেছে

#image_title

শীতের সময় বয়স্কদের পাশাপাশি বাড়ির ছোটদেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। এ সময় সামধান সাবধানতা অবলম্বন না করলেই জ্বর-সর্দিকাশির মত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তাই শীতে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করতে হবে।

ভোরের সময় বেশি শীত অনুভূত হয়। তাই সে সময় ফ্যানের স্পিড কম করে ছোটদের গায়ে ও গলায় অবশ্যই হালকা চাদর চাপা দিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন ঘেমে না যায়। পরে ঘাম থেকে আবার ঠান্ডা লাগতে পারে। ভোরের সময় ঘরের জানালা বন্ধ করে রাখুন। রোদ উঠলে খুলেন।

আরও পড়ুনঃ ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় মার্কিন সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে?

এই সময় শীতের শাকসবজি যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজির তরকারি প্রত্যেকের বাড়িতেই তৈরি করা। তবে এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের রাতের খাবারে এ ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত সাত বছরের নিচে যাদের বয়স। অনেক সময় এই ধরনের সবজি খেয়ে পেটগরম, বদহজম হতে পারে।

এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। এসময় ভালো ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ত্বকে কোনওকিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য রোজ ভিটামিন সি যুক্ত ফল-যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, আমলকী খাওয়ান। ছোটখাটো সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এতে প্রতিরোধ হবে।

ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। দু-দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরে মুখে অরুচি হলে বাচ্চা যা খেতে চায় তাই দিন, তবে তেল-ঝাল-মশলা বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে দিন। যেমন, স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ, চিঁড়ের পোলাও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হলে বাচ্চাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো। এর থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

শেয়ার করুন

শীতে শিশুদের জ্বর-সর্দিকাশি থেকে যেভাবে দূরে রাখবেন

সময় : ০৩:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

শীতের সময় বয়স্কদের পাশাপাশি বাড়ির ছোটদেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। এ সময় সামধান সাবধানতা অবলম্বন না করলেই জ্বর-সর্দিকাশির মত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তাই শীতে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করতে হবে।

ভোরের সময় বেশি শীত অনুভূত হয়। তাই সে সময় ফ্যানের স্পিড কম করে ছোটদের গায়ে ও গলায় অবশ্যই হালকা চাদর চাপা দিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন ঘেমে না যায়। পরে ঘাম থেকে আবার ঠান্ডা লাগতে পারে। ভোরের সময় ঘরের জানালা বন্ধ করে রাখুন। রোদ উঠলে খুলেন।

আরও পড়ুনঃ ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় মার্কিন সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে?

এই সময় শীতের শাকসবজি যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজির তরকারি প্রত্যেকের বাড়িতেই তৈরি করা। তবে এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের রাতের খাবারে এ ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত সাত বছরের নিচে যাদের বয়স। অনেক সময় এই ধরনের সবজি খেয়ে পেটগরম, বদহজম হতে পারে।

এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। এসময় ভালো ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ত্বকে কোনওকিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য রোজ ভিটামিন সি যুক্ত ফল-যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, আমলকী খাওয়ান। ছোটখাটো সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এতে প্রতিরোধ হবে।

ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। দু-দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরে মুখে অরুচি হলে বাচ্চা যা খেতে চায় তাই দিন, তবে তেল-ঝাল-মশলা বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে দিন। যেমন, স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ, চিঁড়ের পোলাও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হলে বাচ্চাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো। এর থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।