০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যে সময় উন্মুক্ত হয় রহমতের দুয়ার
রিপোর্টার
- সময় : ০৬:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৩ বার দেখেছে
প্রতিটি মুমিনের একান্ত চাওয়া মহান আল্লাহর রহমত। রাতের শেষ প্রহরে উন্মুক্ত হয় মহান আল্লাহর দয়া ও রহমতের প্রশস্ত দুয়ার। এ সময়ে মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার সাগরে যেন জোয়ার আসে। তিনি বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং বান্দার গুনাহ মাফ করার জন্য ও তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য ডাকতে থাকেন।
মুফতি জাকারিয়া হারুন
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
يَتَنَزَّلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ، يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَه، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَه
অর্থ: আমাদের রব প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছো, আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো! কে আছো, আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো! কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো! (বুখারি: ৬৩২১; মুসলিম: ৭৫৮)
আরেক বর্ণনায় আরও এসেছে,
فَلَا يَزَالُ كَذلِكَ حَتَّى يُضِيْءَ الْفَجْرُ
অর্থ: মহান আল্লাহ এভাবে ঘোষণা করতে থাকেন, সুবহে সাদিক পর্যন্ত। (মুসলিম: ৭৫৮; তিরমিজি: ৪৪৬)
যুগে যুগে যারা মহান আল্লাহকে ভালোবেসেছেন, ওলি হয়েছেন, তাহাজ্জুদ ও শেষ রাতে জিকির-ইস্তিগফার ছিল তাদের একটি প্রিয় আমল। এমনকি পূর্ববর্তী উম্মতের যারা নেককার বান্দা ছিলেন তারাও তাহাজ্জুদের প্রতি বেশ যত্ন নিতেন। কারণ এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, গুনাহ মাফ হয় এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়!
হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّه دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ، وَهُوَ قُرْبَةٌ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ، وَمُكَفِّرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ، وَمَنْهَاةٌ عَنِ الْإِثْمِ
অর্থ: তোমরা অবশ্যই তাহাজ্জুদের পাবন্দি করবে। কেন না তাহাজ্জুদ ছিল পূর্ববর্তী নেককার বান্দাদের অভ্যাস। এ নামাজ তোমাদেরকে আপন রবের নৈকট্য দান করে, তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করায় এবং তোমাদেরকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে। (ইবনে খুজায়মা: ১১৫৩; মুস্তাদরাকে হাকেম: ১১৫৬)
ট্যাগ :