Site icon আপনার বার্তা

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে ইসরায়েলকে আহ্বান বোরেলের

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেল ইসরায়েলকে লেবাননের সঙ্গে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চুক্তিতে ইসরায়েলের জন্য প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইতালির জি-৭ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান বোরেল।

বোরেল বলেন, ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে এই চুক্তি বাস্তবায়নে কোনও অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। ইসরায়েলের ওপর চুক্তি অনুমোদনের জন্য চাপ প্রয়োগ করা উচিত।

জি-৭ হলো বিশ্বের সাতটি শিল্পোন্নত দেশের সংগঠন, যার সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং জাপান।

আরো পড়ুনঃ কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী?
তিনি আরও বলেন, আশা করি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স প্রস্তাবিত এই চুক্তি দ্রুত অনুমোদন করবেন। কোনও নতুন দাবি বা অজুহাত তোলা ঠিক হবে না।

চুক্তির বিরোধিতাকারী কট্টরপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রীদের সমালোচনা করেন বোরেল। এর আগে, এক সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব।

বোরেল জানান, সম্প্রতি লেবানন সফরের সময় চুক্তি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। এই চুক্তি বাস্তবায়নে ফ্রান্সকে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে লেবানন ফ্রান্সের অংশগ্রহণ চাইলেও ইসরায়েল এতে আপত্তি জানিয়েছে। বিষয়টি এখনো মীমাংসা হয়নি।

গাজার সংঘাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং হামাস নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করেন বোরেল।

তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির রায়কে স্বাগত জানালেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নীরব থাকা অগ্রহণযোগ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে আইসিসির সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বোরেল।

এদিকে, ইতালির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়, তারা আইসিসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি সাধারণ অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার না করায় এবং নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরোধিতা করায় বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে।

Exit mobile version