Site icon আপনার বার্তা

ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে বিক্ষোভের আয়োজন করার চেষ্টা করে তার সমর্থকরা। কিন্তু ইসলামাবাদে লকডাউন জারি করে এই বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করে সরকার।

ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও তার শরীকরা। তাই তাদের পদত্যাগ করতে হবে। ইমরানসহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হাজারো সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দলের পাঁচ পার্লামেন্ট সদস্যও আছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসলামাবাদের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ইসলামাবাদে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

লাহোরেও পুলিশ পিটিআইয়ের প্রচুর কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরানের ঘনিষ্ঠ নেতা আলি আমিন গান্দাপুর ভিডিওবার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন শহরের ডি চকে জমায়েত হন। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবিপূরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে অবস্থান করার জন্য ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ

গত অক্টোবরেও পুলিশ ইসলামাবাদে এভাবেই ইমরানের সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তখন বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। একজন পুলিশকর্মী মারা যান। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। সেবার বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগ আনে। পুলিশের অভিযোগ, গোলযোগ সৃষ্টির জন্যই এই বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ইমরানের দলের নেতাদের দাবি, অন্যায়ভাবে তাদের নেতাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল ইমরান খানকে। ২০২৩ থেকে থেকে তিনি জেলে বন্দি। তার তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরো পড়ুনঃ ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, বিশ্বে স্থান তৃতীয়

ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫০টির মতো ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার সমর্থকদের দাবি, ইমরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ইমরানকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় তিনি মুক্তি পাননি। ইমরান অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Exit mobile version