গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় তাদের দেশের এক নারী জিম্মি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস এ তথ্য জানিয়েছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র আবু ওবাইদা টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, শত্রু (ইসরায়েলি) বন্দিদের রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত যোদ্ধাদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। যোদ্ধাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপনের পর জানা গেছে, উত্তর গাজায় ইহুদিবাদী আগ্রাসনের শিকার একটি এলাকায় শত্রুদের একজন নারী বন্দি নিহত হয়েছেন।
ওবাইদা বলেন, নিহত জিম্মির সঙ্গে থাকা আরেক নারী বন্দির জীবন আসন্ন ঝুঁকিতে রয়েছে। যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু, তার সরকার এবং তার সামরিক নেতারা তাদের বন্দিদের জীবনের জন্য সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ, কারণ তারা তাদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে এবং তাদের মৃত্যুর কারণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
আল-কাসসাম নিহত জিম্মির একটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, নেতানিয়াহু ও (চিফ অব স্টাফ হার্জি) হালেভির নতুন শিকার।
আরো পড়ুনঃ ফেনিতে দাদা-দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাঈম
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৪ বহাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
তেল আবিবের কারাগারে কমপক্ষে ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে এবং ১০১ জন ইসরায়েলি বন্দি গাজায় রয়েছে বলে মনে করা হয়। হামাস বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন বন্দি নিহত হয়েছে।
জিম্মিদের পরিবার এবং বিরোধীদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু তার জোট সরকারের পতনের ভয়ে যুদ্ধ শেষ করতে এবং গাজা থেকে সরে যেতে চাইছে না।
গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।