গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলার পরেই শেয়ারে ‘ধস’
- সময় : ১১:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
- / ৪ বার দেখেছে
ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গৌতম আদানি এবং তার ভাইপো সাগর আদানি-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা ভারতের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুর প্রকল্প তৈরির জন্য ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। এই প্রকল্প থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে আদানি।
মার্কিন প্রসিকিউটাররা জানিয়েছেন, গৌতম ও সাগর আদানি এবং তাদের সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জির সাবেক সিইও বিনীত জৈন এই দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ৩০০ কোটি ডলার তুলেছিলেন। মূলত ঋণ নিয়ে এবং বন্ডের মাধ্যমে তারা এই অর্থ তোলেন।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষের সাহায্যে তারা এই প্রকল্পের বরাত পেয়েছিলেন, সেই তথ্য গোপন করেছেন, এর ফলে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করেছেন।
আরো পড়ুনঃ টি-টেনের পর জাতীয় দলে ফিরতে চান সাকিব
অভিযোগ করা হয়েছে, আদানিরা ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশাল করে এই প্রকল্পের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন, তার ফলে তারা গত পাঁচ বছরে বহু কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
অভিযোগে বলে হয়েছে, কিছু চক্রান্তকারী গৌতম আদানিকে ‘নুমেরো উনো’ এবং ‘দ্য বিগ ম্যান’ বলে ডাকতেন। সাগর আদানি তার সেলফোনে এই ঘুষের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতেন।
আদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। কিন্তু ভারতে বিজনেস আওয়ারের বাইরে বলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযোগের কথা ঘোষণা করা হয়।
এদিকে এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই আদানির কিছু কোম্পানির শেয়ারে দরপতন শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আদানির গ্রিন এনার্জির শেয়ার ১৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আদানি এনার্জি সলুউশনের দরপতন হয়েছে ২০ শতাংশ, আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের হ্রাস হয়েছে ১০ শতাংশ, আদানি পাওয়ারের শেয়ারের হ্রাস পেয়েছে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং আদানি পোর্টস শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১০ শতাংশ।
এর আগে গত বছর নিউইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের বিতর্কিত এক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্যে ধস নামে।
ওই রিপোর্টের জেরে গত বছরের জানুয়ারিতে এক সপ্তাহেই প্রায় ২৫০০ কোটি ডলারের ব্যক্তিগত ধনসম্পদ উধাও হয় আদানির।