গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে বুধবার (২০ নভেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদে আনিত প্রস্তাবের ওপর ফের ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কারণে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে গেল। খবর এএফপির।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এখনে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হলে হামাস যোদ্ধারা উৎসাহিত হবে। ফলে জিম্মি উদ্ধার অনেকটা কঠিন হয়ে পড়বে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাসের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা বয়ে আনবে। কারণ, জিম্মি উদ্ধারে আলোচনার টেবিলে বসে সমঝোতা না করলে জিম্মিদের মুক্তিলাভ কখনো সম্ভব হবে না।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই ভোটে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রস্তাবটি নিয়ে সমঝোতার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী রাষ্ট্রের মধ্যে ১০টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব উন্থাপন করা।
আরো পড়ুনঃ সারাদেশ দুদকের মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কারাগারে
এতে গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি দাবি করা হয়। তবে একমাত্র স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রস্তাবটি আটকে দেয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় ইসরায়েলি বন্দীদের কথা ভুলে গেছে। কিন্তু আমরা তা হতে দিতে পারিনা। আমরা জিম্মিদের ভুলে যেতে পারি না।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেটোকে সঙ্কট সমাধানের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধ আরও গভীর হয়েছে।
এএফপি বলছে, এই যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবটি ছিল কয়েক সপ্তাহের আলোচনার ফসল। নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত ১০ সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাটি উত্থাপন করেছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবরের পর এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিল যুক্তরাষ্ট্র।