০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিগগিরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে ইউক্রেন: রিপোর্ট

রিপোর্টার
  • সময় : ০৬:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৮ বার দেখেছে

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিলে ইউক্রেন শিগগিরই তাদের দেশে থাকা পরমাণু চুল্লিগুলোতে অপরিশোধিত পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করতে পারে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তুত করা এক ব্রিফিং পেপারে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের লেখকরা মনে করেন- ম্যানহাটন প্রকল্পের কাঠামোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যেমন একটি সাধারণ পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছিল, ৮০ বছর পর তা কঠিন কাজ হবে না।

তারা যুক্তি দিয়েছেন, ইউক্রেন যদি এখন পারমাণবিক বোমা বানায়, তা ‘ফ্যাট ম্যান’ জাপানের নাগাসাকিকে যেভাবে সমতল করেছে, এর চেয়ে মাত্র দশমাংশ শক্তিশালী হবে। ইউক্রেনের চুল্লিগুলিতে যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম রয়েছে তা কয়েক কিলোটনের কৌশলগত বিস্ফোরণের জন্য যথেষ্ট। পুরো রুশ বিমানঘাঁটি ধ্বংস করতে বা সামরিক, শিল্প বা রসদ সরবরাহের কেন্দ্রীভূত স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য এটি যথেষ্ট।

বুধবার দ্য টাইমস সংবাদপত্রের মতে, ব্রিফিং পেপারটি ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। এটি তাদের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে একটি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।

আরো পড়ুনঃ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ৭ দফা দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শুরু
রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদ অনুসারে, নিজেদের অঞ্চল বা অবকাঠামোতে প্রথম পারমাণবিক হামলা হলে বা পারমাণবিক কিংবা প্রচলিত অস্ত্রের হামলায় রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হলে এই জাতীয় অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, পরমাণু অস্ত্রবিহীন কোনো দেশ যদি দেশটিতে হামলা চালায়, তাহলে মস্কোর পরমাণু অস্ত্রের বিকল্প বিবেচনা করবে।

গত মাসে জেলেনস্কি ঘোষণা করেছিলেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করবে তারা। যদিও পরে তিনি এই মন্তব্যগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন

শিগগিরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে ইউক্রেন: রিপোর্ট

সময় : ০৬:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিলে ইউক্রেন শিগগিরই তাদের দেশে থাকা পরমাণু চুল্লিগুলোতে অপরিশোধিত পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করতে পারে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তুত করা এক ব্রিফিং পেপারে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের লেখকরা মনে করেন- ম্যানহাটন প্রকল্পের কাঠামোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যেমন একটি সাধারণ পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছিল, ৮০ বছর পর তা কঠিন কাজ হবে না।

তারা যুক্তি দিয়েছেন, ইউক্রেন যদি এখন পারমাণবিক বোমা বানায়, তা ‘ফ্যাট ম্যান’ জাপানের নাগাসাকিকে যেভাবে সমতল করেছে, এর চেয়ে মাত্র দশমাংশ শক্তিশালী হবে। ইউক্রেনের চুল্লিগুলিতে যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম রয়েছে তা কয়েক কিলোটনের কৌশলগত বিস্ফোরণের জন্য যথেষ্ট। পুরো রুশ বিমানঘাঁটি ধ্বংস করতে বা সামরিক, শিল্প বা রসদ সরবরাহের কেন্দ্রীভূত স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য এটি যথেষ্ট।

বুধবার দ্য টাইমস সংবাদপত্রের মতে, ব্রিফিং পেপারটি ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। এটি তাদের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে একটি সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।

আরো পড়ুনঃ গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ৭ দফা দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শুরু
রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদ অনুসারে, নিজেদের অঞ্চল বা অবকাঠামোতে প্রথম পারমাণবিক হামলা হলে বা পারমাণবিক কিংবা প্রচলিত অস্ত্রের হামলায় রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হলে এই জাতীয় অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, পরমাণু অস্ত্রবিহীন কোনো দেশ যদি দেশটিতে হামলা চালায়, তাহলে মস্কোর পরমাণু অস্ত্রের বিকল্প বিবেচনা করবে।

গত মাসে জেলেনস্কি ঘোষণা করেছিলেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করবে তারা। যদিও পরে তিনি এই মন্তব্যগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।