মন্টিনিগ্রোর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনি। ২০২৩ সালে সরকারপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তিনি। তাঁর বর্তমান বয়স ৩৬ বছর।
এ বছর জানুয়ারিতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়েন গ্যাব্রিয়েল আতাল। তাঁর বয়স ৩৪ বছর। তিনি ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান। সেই সঙ্গে দেশটির প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি।
সময়টা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর। ফিনল্যান্ডের ৪৬তম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সানা মারিন। তিনি দেশটির চতুর্থ নারী প্রধানমন্ত্রী। এ পদে ছিলেন ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার সময় সানা মারিনের বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর। তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান বলা হয়।
৩০ বছর বয়সে আইন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন সানা মারিন। দুই বছর পর সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির উপনেতা নির্বাচিত হন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁরই দলের নেতা আন্তি রিননে। রাজনৈতিক অসন্তোষে আন্তি পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী হন সানা। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে নাচের ভিডিও ভাইরাল হলে সানা তুমুল সমালোচিত হন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া। গত বছর মাত্র ৩৫ বছর বয়সে নোবোয়া দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট হন।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা আরডার্ন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৭ বছর। ওই সময় জেসিন্ডা বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব নেন। প্রায় ছয় বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৮ সালে মেয়েশিশুর জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন জেসিন্ডা। শিশুসন্তান কোলে নিয়ে তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের মসজিদে হামলার ঘটনা পুরো নিউজিল্যান্ডকে বদলে দেয়। জেসিন্ডা শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেন।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, রয়টার্স ও এএফপি।