কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়: বিক্ষোভের জেরে শাস্তি পাওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী শিগগিরই ক্যাম্পাসে ফিরবেন
- সময় : ০৭:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ২০ বার দেখেছে
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা, সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বা গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হন। এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ শিগগিরই ক্যাম্পাসে ফিরবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা তথ্য থেকে এ কথা জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে গত এপ্রিল-মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তুমুল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ হয়।
সে সময় দেশটির অভিজাত আইভি লিগভুক্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছিল। ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তাঁরা ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে বলেন।
শিক্ষার্থী বিক্ষোভ সামাল দেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক-সমালোচনার জেরে গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনুশে শফিক পদত্যাগ করেন।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা গত এপ্রিলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ইসরায়েলি সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস ফাঁকা করার জন্য পুলিশ ডাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানায় অধিকার গোষ্ঠীগুলো।
মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তথ্য অনুসারে, ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার পর যে ৪০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে মাত্র দুজন এখন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন।
ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তদন্তকারী প্যানেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্ষোভসংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল। বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত ছিল বলে শুনানিতে সমালোচনা করেছিল প্যানেল।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মের মধ্যে ৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৫ জন এখন অন্তর্বর্তী সাময়িক বহিষ্কারাদেশের আওতায় আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা তথ্যে দেখা গেছে, বিক্ষোভের ঘটনায় বেশ কিছু শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অভিযোগ এখনো চলমান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত করেনি।