প্রশ্নর উত্তর হলো, হ্যাঁ। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এবং নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চললে টেস্টোস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ানো সম্ভব। জেনে রাখুন সেসবই।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
প্রথমত, সুষম খাদ্যাভ্যাস অবশ্যই জরুরি। কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে, যেসব টেস্টোস্টেরন বাড়ায় বলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এর মধ্যে একটি হলো আদা। এটি আমরা সচরাচর খাবারে ব্যবহার করি মসলা হিসেবে। এটি রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি বয়সজনিত নেতিবাচক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াও প্রতিরোধ করে। বেদানা বা ডালিমও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ডালিমের রস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে, যা টেস্টোস্টেরনের জন্য উপকারী।
ঠান্ডা পরিবেশ
গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পরিবেশ টেস্টোস্টেরন নিঃসরণে উপকারী। বেশি ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে শরীর নিজেকে গরম করতে বেশি মাত্রায় টেস্টোস্টেরন তৈরি করে। তাই এই হরমোনের নিঃসরণ বাড়াতে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল, বরফ নিমজ্জিত পানিতে ডুবে থাকার মতো পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এ কারণে ক্রীড়াবিদেরা ব্যায়াম শেষে ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন বা বরফ নিমজ্জিত পানিতে ডুবে থাকেন।
ব্যায়াম
যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা রক্তে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সহায়ক। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম, যেমন স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস, পুশ আপ বেশি উপকারী।
ভিটামিন ও লবণ
জিংক প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভিটামিন ডি-ও একইভাবে কার্যকর বলে প্রমাণিত। ম্যাগনেশিয়াম ও বোরনও রক্তে টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বাড়াতে সক্ষম। ম্যাগনেশিয়াম বেশি পাবেন পাতাযুক্ত সবজি ও বাদামের মতো খাবারে। বোরন পাবেন বিভিন্ন ফল, যেমন আপেল, অ্যাভোকেডোসহ কিশমিশের মতো খাবারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে একবার পর্যাপ্ত বোরন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ বাড়তে পারে।
প্লাস্টিক থেকে সাবধান
বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, যেমন প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত পাত্র কিন্তু টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ হ্রাস করতে পারে। এ কারণে প্লাস্টিকজাত পাত্র বা বোতলে খাবার না খাওয়াই উত্তম।