০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসুদ আলী খান আর নেই। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

রিপোর্টার
  • সময় : ০৭:১৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৪ বার দেখেছে

মাসুদ আলী খান আর নেই

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি..রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাকে দেখা শুনার দায়িত্বে থাকা রবিন মন্ডল। মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। তার বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন।

মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়।

আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।
মৃত্যুকালে মাসুদ আলী খানের বয়স ছিল ৯৫ বছর। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
>তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।

আপনার বার্তা

শেয়ার করুন

মাসুদ আলী খান আর নেই। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

সময় : ০৭:১৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি..রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাকে দেখা শুনার দায়িত্বে থাকা রবিন মন্ডল। মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। তার বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন।

মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়।

আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।
মৃত্যুকালে মাসুদ আলী খানের বয়স ছিল ৯৫ বছর। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
>তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।

আপনার বার্তা