রাস্তার পাশের ছোট্ট দোকান থেকে ‘ভারতের সেরা’ ইন্ডাস্ট্রি
- সময় : ১০:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১০ বার দেখেছে
অবজ্ঞা পেরিয়ে
মলিউড ইন্ডাস্ট্রির শুরু থেকে একে ছোট করে দেখা এবং অবজ্ঞা করার প্রবণতা খেয়াল করা গেছে। মলিউডকে অবজ্ঞা করে ‘পেট্টিক্কাড়াউড’ বলা হতো। এর অর্থ হলো রাস্তার পাশের ছোট্ট দোকান, যেখানে সস্তা জিনিস বিক্রি হয়। অথচ রাস্তার পাশের সেই ছোট্ট দোকানের সিনেমাই যে সাফল্য লাভ করছে, তাতে করে মালয়ালম সিনেমা ভারতের সেরা কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক দিকগুলো মিলিয়ে মালয়ালম সিনেমা যেভাবে ব্লকবাস্টার হচ্ছে, তাতে পুরো ভারত ছাপিয়ে বিশ্বের দর্শকের আগ্রহবিন্দুতে পৌঁছে গেছে। কেউ কেউ আবার মালয়ালম সিনেমাকে ভারতের সেরা বলছেন। কিন্তু কেন?অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে মালয়ালম সিনেমা যে আজকের অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, এর জন্য আনন্দিত পরিচালক জিও বেবি। ‘কাঁঠাল: দ্য কোর’(২০২৩) সিনেমার পরিচালক বলেন, ‘কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমরা সিনেমার মাধ্যমে সমস্যার কথা বলতাম। কিন্তু এখন উল্টোটা ঘটছে। মেইনস্ট্রিম সিনেমার ক্ষেত্রেও। কোনো সিনেমার মাধ্যমে রাজনৈতিক কোনো বার্তা ভুলভাবে দেওয়া হলে দর্শক প্রশ্ন তুলছেন। সেটা কোনো সুপারস্টার অভিনীত সিনেমা হলেও। এ ধরনের পরিবর্তন শুধু নির্মাতা বা শিল্পীদের কারণেই হয়নি। দর্শকেরাও এর অংশীদার।’
জিও বেবির ঝুলিতে ‘ফ্রিডম ফাইট’ (২০২২), ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন’(২০২১), ‘কিলোমিটারস অ্যান্ড কিলোমিটারস’-এর (২০২০) মতো জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে।গল্পটা শিকড়ের
মালয়ালম সিনেমার মূল শক্তি কোনটা, সেই প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই রয়েছে। কী কারণে এই সিনেমা এত জনপ্রিয়? এমন প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্র সমালোচক নীলিমা মেনন সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘এর মূল শক্তি হচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতিতে নিহিত বিষয়কে উপজীব্য করে বাস্তবধর্মী সিনেমা তৈরি, যা এই সিনেমাকে অনন্য করে তোলে। “মঞ্জুমেল বয়েজ”-এর কথা যদি বলি, শিকড়ের কথা বলার কারণেই এটি অনেক দর্শকের মধ্যে অনুরণন তুলতে পেরেছে।’