স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ের সৈনিকদের কথা
মামলা ঝুলছেই স্বীকৃতিও মেলেনি
- সময় : ১১:৫৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / ২০ বার দেখেছে
বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের প্রতিবাদ করে বহু মানুষ বাড়িছাড়া, দেশছাড়া হয়েছেন। যাঁরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের আত্মীয়স্বজনরাও সরকারের রোষানল থেকে বাঁচতে পারেননি। মামলা-হামলায় দুর্বিষহ জীবন কেটেছে প্রতিবাদী মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। ফ্যাসিস্ট সরকারের হুমকিধমকি, মামলার আসামি হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাহসী কিছু সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট। বিদেশে গিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করেও তাঁরা অকুতোভয়ে লড়ে গেছেন নিজ দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রের মুুক্তির জন্য। তাঁরা প্রতিনিয়ত বিগত সরকারের দুঃশাসনের নানা চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছেন। বিশ্বব্যাপী নানা ফোরামে তুলে ধরেছেন নিপীড়িত বাংলাদেশিদের কথা। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানে তাঁদের ছিল অবিস্মরণীয় অবদান। ছাত্র-জনতার অন্তর্বর্তী সরকারের আজ ৮৪ দিন। এখন পর্যন্ত তাঁদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করা বা তাঁদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় এখনো তাঁরা দেশের মাটিতে পা রাখতে পারছেন না। মেলেনি কোনো স্বীকৃতিও।
জানা গেছে, যেসব সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট বিদেশে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, ফাহাম আবদুস সালাম, শাহেদ আলম, আবদুর রব ভুট্টো, সাইফুর সাগর, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকে।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এসব প্রতিবাদী ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেওয়া হবে বীরের স্বীকৃতি। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিবাদী সাংবাদিকের মধ্যে মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তবে মামলার কারণে অন্যদের দেশে ফেরার পথটাই এখনো উন্মুক্ত হয়নি।