১১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএমপি কমিশনার, আনোয়ারুজ্জামান ও সাবেক ৩ এমপিসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্টার
  • সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৫ বার দেখেছে

 সিলেট মহানগরীর সোবাহানিঘাট এলাকায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের মিছিলে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক যুবক।

মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার, সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র, সদ্য সাবেক তিন এমপিসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাজন আহমদ সাজু   সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, সিআরটি বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এসআই পলাশ চন্দ্র দাস, উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এসআই সাইদুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামীকে আসামী রাখা হয়েছে।

এছাড়া সিসিক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, বদরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শোভন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, এসআই শামীম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন রাহি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ, শুভ, যুবলীগ নেতা জিহাদ, জাকিরুল আলম জাকির, শামিম ইকবাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজী জুবায়ের, যুবলীগ নেতা হিরক রঞ্জন দে পাপলু, লিলন আহমদ, শাবিপ্রবির কলেজ ইন্সপেক্টর তাজিম উদ্দিন, মহানগর ছাত্ররীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, মো. ইয়াহইয়া, কাজী আশরাফ খান মাসুম, মনজুর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ আল কবির, সদস্য তামীম আহমদ, মস্তাক আহমদ পলাশ, তমিজ উদ্দিন, বাদল, আমির হোসেন, সৈয়দ এনায়েতুল বারী মোর্শেদ, হোসেন উল্লা নাদিম, সাব্বির, আফজাল, জাকারিয়া মাহমুদ, সনি, শেখ  শাকিল, ইসমাইল মাহমুদ সুজন ও মইনুল ইসলাম মইনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে উল্লেখ্য করা হয়, ‘পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেনের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে বানচাল করার জন্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদশের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আসামীরা বৈধ ও অবৈধ বন্ধুক দিয়ে নিরীহ ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষন শুরু করে। অপর আসামীরা তাদের হাতে থাকা বোমা নিয়া ছাত্রজনতার উপর অবিরাম গুলিবর্ষন, ককটেল, বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ ছাত্র জনতারকে হত্যার উদ্দেশে।’

‘এসময় পথচারীরা মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। তার মধ্যে আমার (সাজু) মুখে ও চোখে গুলিবৃদ্ধ হয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় স্প্রীন্টার ও স্প্রীন্টারের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’ উল্লেখ করা হয় েএজহারে।

এদিকে আদালত কোতোয়ালী মডেল থানাকে এই এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

এসএমপি কমিশনার, আনোয়ারুজ্জামান ও সাবেক ৩ এমপিসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

 সিলেট মহানগরীর সোবাহানিঘাট এলাকায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের মিছিলে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক যুবক।

মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার, সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র, সদ্য সাবেক তিন এমপিসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাজন আহমদ সাজু   সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, সিআরটি বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এসআই পলাশ চন্দ্র দাস, উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এসআই সাইদুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামীকে আসামী রাখা হয়েছে।

এছাড়া সিসিক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, বদরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শোভন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, এসআই শামীম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন রাহি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ, শুভ, যুবলীগ নেতা জিহাদ, জাকিরুল আলম জাকির, শামিম ইকবাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজী জুবায়ের, যুবলীগ নেতা হিরক রঞ্জন দে পাপলু, লিলন আহমদ, শাবিপ্রবির কলেজ ইন্সপেক্টর তাজিম উদ্দিন, মহানগর ছাত্ররীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, মো. ইয়াহইয়া, কাজী আশরাফ খান মাসুম, মনজুর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ আল কবির, সদস্য তামীম আহমদ, মস্তাক আহমদ পলাশ, তমিজ উদ্দিন, বাদল, আমির হোসেন, সৈয়দ এনায়েতুল বারী মোর্শেদ, হোসেন উল্লা নাদিম, সাব্বির, আফজাল, জাকারিয়া মাহমুদ, সনি, শেখ  শাকিল, ইসমাইল মাহমুদ সুজন ও মইনুল ইসলাম মইনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে উল্লেখ্য করা হয়, ‘পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেনের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে বানচাল করার জন্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদশের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আসামীরা বৈধ ও অবৈধ বন্ধুক দিয়ে নিরীহ ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষন শুরু করে। অপর আসামীরা তাদের হাতে থাকা বোমা নিয়া ছাত্রজনতার উপর অবিরাম গুলিবর্ষন, ককটেল, বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ ছাত্র জনতারকে হত্যার উদ্দেশে।’

‘এসময় পথচারীরা মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। তার মধ্যে আমার (সাজু) মুখে ও চোখে গুলিবৃদ্ধ হয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় স্প্রীন্টার ও স্প্রীন্টারের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’ উল্লেখ করা হয় েএজহারে।

এদিকে আদালত কোতোয়ালী মডেল থানাকে এই এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।