রংপুর সিটি করপোরেশনের মাসিক সভায় এসে আওয়ামী লীগপন্থী ২ কাউন্সিলর লাঞ্ছিত
- সময় : ১১:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১ বার দেখেছে
রংপুর সিটি করপোরেশনের মাসিক সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগপন্থী দুই কাউন্সিলর লাঞ্ছিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে তাঁরা লাঞ্ছিত হন। এই দুজন হলেন সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম সরওয়ার মির্জা ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার এবং পরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটির আওয়ামী লীগপন্থী কাউন্সিলররা দলীয় সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ তাঁদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলরদের শনাক্ত করা হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষুব্ধ লোকজন আজ আওয়ামী লীগপন্থী দুই কাউন্সিলরকে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করেছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ১১টি মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৪৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন কাউন্সিলর রয়েছেন ১৯ জন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কাউন্সিলরদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। আজ মাসিক সভায় তাঁদের মধ্যে ছয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
সিটির সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগপন্থী কিছু কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে সরাসরি সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। যাঁরা মাসিক সভায় ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তেমন জোরালো কোনো অভিযোগ নেই। তবে মাসিক সভা শেষে যাওয়ার সময় সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম সরওয়ার মির্জা ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলমকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় খবর পেয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নুরুন্নবী ফুলু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাঁদের ছাড়িয়ে নেন।
প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান বলেন, আওয়ামী লীগপন্থী কাউন্সিলরদের দেখে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন। পরে সবাইকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর গোলাম সরওয়ার মির্জা ও রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।