পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা সুরঞ্জিতের ভাঙচুর হওয়া বাড়ি পরিদর্শনে ইউএনও-ওসি
- সময় : ১২:১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ১২ বার দেখেছে
‘সবাই ভালো থাকবেন। আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছি জীবন বাঁচাতে। বিচার চাই আমার বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও পুকুর দখলের।’
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত সরকারের (৪৩) ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস এটি। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ১৪ দিন পর তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতের কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেন।
সুরঞ্জিত সরকার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি দুবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা, মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল ও মোহনপুরে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা রায়ঘাটি ইউনিয়নের হাটরা গ্রামে সুরঞ্জিতের বাড়ি পরিদর্শনে যান।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মোহনপুর থানায় অগ্নিসংযোগ, এসি ল্যান্ডের কার্যালয় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেদিন বিকেলে হাটরা গ্রামে সুরঞ্জিত সরকারের বাড়িতে হামলা হয়। সুরঞ্জিত বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, হামলাকারীরা বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। পরে ওই রাতে তিনটি গরুও লুট করে হামলাকারীরা। ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই সুরঞ্জিত ও তাঁর বড় ভাই সঞ্জিত সরকারের (৪৫) তিনটি পুকুরের মাছ লুট চলছে।সুরঞ্জিতের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখার পরে গতকাল রোববার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য আগে থেকেই তাঁর ভিসা করা ছিল। তিনি স্ত্রী ও ১২ বছর বয়সী একমাত্র ছেলেকে সঙ্গে করে ভারতে চলে এসেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়িতে এত বড় হামলা হলো, তারপর তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা রেকর্ড হয়নি। প্রশাসনের কোনো লোক তাঁর বাড়িতে যায়নি। প্রতিকার না পেয়ে ঘটনার ১৪ দিন পর গতকাল রোববার সকালে তিনি গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন।