০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাঠিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট: খুলনার সাবেক সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮ বার দেখেছে

খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৫ই জানুয়ারি সকাল ১১টায় বিএনপি’র কেন্দ্রঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে তৎকালীন খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি ও সরকারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়িভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ওসি মামুন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদীর মুখে আঘাত করে বলেন, ‘জবান সারা জীবনের জন্য বন্ধ করে দিবো।’ সঙ্গে সঙ্গে আবারো মাথা লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারো আঘাত করেন। এ সময় বাদী সামান্য একটু পেছনে সরে গেলে তার বাম চোখের ওপর লাঠির আঘাত লাগলে চোখের ডান পাশ থেকে চোখের মণি ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। এতে চোখের ৮৫ ভাগ জ্যোতি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে চিকিৎসক দেখালেও চোখের আলো আর ফিরে পাননি তিনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার বলেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ডিবি) তদন্ত করে  আগামী ২৪শে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

লাঠিচার্জে বিএনপি নেতার চোখ নষ্ট: খুলনার সাবেক সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলা

সময় : ১০:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৫ই জানুয়ারি সকাল ১১টায় বিএনপি’র কেন্দ্রঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে তৎকালীন খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি ও সরকারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়িভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ওসি মামুন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদীর মুখে আঘাত করে বলেন, ‘জবান সারা জীবনের জন্য বন্ধ করে দিবো।’ সঙ্গে সঙ্গে আবারো মাথা লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারো আঘাত করেন। এ সময় বাদী সামান্য একটু পেছনে সরে গেলে তার বাম চোখের ওপর লাঠির আঘাত লাগলে চোখের ডান পাশ থেকে চোখের মণি ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। এতে চোখের ৮৫ ভাগ জ্যোতি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে চিকিৎসক দেখালেও চোখের আলো আর ফিরে পাননি তিনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার বলেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্তি উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ডিবি) তদন্ত করে  আগামী ২৪শে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।