০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮ বার দেখেছে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপচার্য, ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রভোস্টসহ ৬৭ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোলাম কুদ্দুস জানান, তিনিসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহামুদ হোসেন, উপ উপাচার্য প্রফেসর মোসা. হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরীসহ সকল প্রভোষ্ট ও সহকারী প্রভোষ্টসহ ৬৭ জন পদত্যাগ করেছেন।

সকলেই ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানান গোলাম কুদ্দুস। সকলেই আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবের নিকট পাঠিয়েছেন।

দুপুরে পদত্যাগের আগে উপচার্য ড. মাহামুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। এর আগে গত ১৮ আগস্ট রোববার উপাচার্যের পদত্যাগ না করার দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময় নেন তিনি।

খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের অধ্যক্ষ রোকশানা খানমের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ চত্বরে তারা এই কর্মসূচি পালন করে।

দাবি বাস্তবায়নে তারা খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গেল কয়েক দশক যাবৎ অধ্যক্ষ রোকশানা খানম তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাচারিতা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর জুলুম ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছেন। আমাদের সরকারিভাবে দেওয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা বলেন, আমাদের যে, খুবই নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়। যা কোন পশুকেও দেওয়া হয় না। এভাবে তিনি বিরাট অঙ্কের অর্থ চুরি করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শুধু পদত্যাগ করলে হবে না তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ যে অর্থ লুটপাট করেছেন তার হিসাব দিতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/পিএস)

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

সময় : ১০:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপচার্য, ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রভোস্টসহ ৬৭ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোলাম কুদ্দুস জানান, তিনিসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহামুদ হোসেন, উপ উপাচার্য প্রফেসর মোসা. হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরীসহ সকল প্রভোষ্ট ও সহকারী প্রভোষ্টসহ ৬৭ জন পদত্যাগ করেছেন।

সকলেই ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানান গোলাম কুদ্দুস। সকলেই আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবের নিকট পাঠিয়েছেন।

দুপুরে পদত্যাগের আগে উপচার্য ড. মাহামুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। এর আগে গত ১৮ আগস্ট রোববার উপাচার্যের পদত্যাগ না করার দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময় নেন তিনি।

খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের অধ্যক্ষ রোকশানা খানমের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় খুলনা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ চত্বরে তারা এই কর্মসূচি পালন করে।

দাবি বাস্তবায়নে তারা খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গেল কয়েক দশক যাবৎ অধ্যক্ষ রোকশানা খানম তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাচারিতা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর জুলুম ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছেন। আমাদের সরকারিভাবে দেওয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা বলেন, আমাদের যে, খুবই নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়। যা কোন পশুকেও দেওয়া হয় না। এভাবে তিনি বিরাট অঙ্কের অর্থ চুরি করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শুধু পদত্যাগ করলে হবে না তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ যে অর্থ লুটপাট করেছেন তার হিসাব দিতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/পিএস)