বিএনপির কেউ ভাঙচুর-লুটপাট করলে আইনের হাতে সোপর্দ করুন: মিনু
- সময় : ১০:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৬ বার দেখেছে
বিএনপির নেতা-কর্মীরা যদি ভাঙচুর, লুটপাট কিংবা জমি দখলের মতো কর্মকাণ্ড করেন, তাহলে তাঁদের আইনের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। আজ শনিবার সকালে রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে যারা দখলদারি করেছে, তাদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। এতে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোথাও কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে তারা সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ কমিশনার কার্যালয়, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিএনপির কেন্দ্র বরাবর দরখাস্ত দিয়ে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। এগুলো দল প্রশ্রয় দেয় না।’
রাজশাহীর ব্রিটিশ কাউন্সিল দখলের প্রসঙ্গ টেনে রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। তবে এই প্রতিষ্ঠান আমরা ধ্বংস করতে দেব না, জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব। কোনো অপশক্তিকে এটা দখল করতে দেওয়া হবে না। দ্রুতই যেন সংস্কার করে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে মিনু বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। কারণ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, শিগগিরই তিনি বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। দেশবাসী তাঁর অপেক্ষায় রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্ব আদালতে তাঁর বিচার করা হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের মদদে নগর ভবনে সন্ত্রাসীদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপি এই নেতা। আর এ কারণেই নগর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন প্রশ্নে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১ হাজার ১০০ নেতা-কর্মী বিভিন্ন মামলায় আটক হয়েছেন। এ ছাড়া চারজন মারা গেছেন। আর আহত হয়েছেন অগণিত। প্রচুর নেতা-কর্মী পঙ্গুও হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর ফান্ড থেকে প্রতি বছর আর্থিক সহযোগিতা করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. ওয়াসিম হোসেনসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।