০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার দেখতে চাই

রিপোর্টার
  • সময় : ০৭:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪ বার দেখেছে

স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। জেন–জিরা, যারা নাম দিয়েছে বাংলাদেশ ২.০। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ এবং বণ্টন শেষ হয়েছে। এখন সময় সিস্টেম পরিবর্তন করার। স্বৈরাচারমুক্ত বাকস্বাধীনতার এই সময়ে সবাই কথা বলছেন, মতামত দিচ্ছেন।

এটা আমাদের জন্য আনন্দের, উৎসবের। কোটা সংস্কার ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতো ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। ঠিক একইভাবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতো শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে অক্ষম হয়েছে এবং নৃশংস দমন–পীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের পরও সরকারি লেজুড়বৃত্তি/তাঁবেদারি করে গেছে।

তাই এখন সময় এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে আমারও বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ও মতামত আছে। আমি মনে করি, এ ভাবনাটা শুধু আমার একার নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যাঁরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে বের করে এনে বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দান করতে চান, তাঁদের সবার।

আমি মনে করি, আমার এই প্রস্তাবনা বা মতামত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েও এটা প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে সেটা একান্তই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপার এবং সংস্কার তাদের দাবি অনুযায়ীই হওয়া উচিত।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার দেখতে চাই

সময় : ০৭:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। জেন–জিরা, যারা নাম দিয়েছে বাংলাদেশ ২.০। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ এবং বণ্টন শেষ হয়েছে। এখন সময় সিস্টেম পরিবর্তন করার। স্বৈরাচারমুক্ত বাকস্বাধীনতার এই সময়ে সবাই কথা বলছেন, মতামত দিচ্ছেন।

এটা আমাদের জন্য আনন্দের, উৎসবের। কোটা সংস্কার ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতো ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। ঠিক একইভাবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতো শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে অক্ষম হয়েছে এবং নৃশংস দমন–পীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের পরও সরকারি লেজুড়বৃত্তি/তাঁবেদারি করে গেছে।

তাই এখন সময় এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে আমারও বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ও মতামত আছে। আমি মনে করি, এ ভাবনাটা শুধু আমার একার নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যাঁরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে বের করে এনে বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দান করতে চান, তাঁদের সবার।

আমি মনে করি, আমার এই প্রস্তাবনা বা মতামত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েও এটা প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে সেটা একান্তই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপার এবং সংস্কার তাদের দাবি অনুযায়ীই হওয়া উচিত।