০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন

রিপোর্টার
  • সময় : ০৯:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬ বার দেখেছে

টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ উৎপাদন বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট। কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেবল একটি একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হয়। এতে উৎপাদন সর্বনিম্নে গিয়ে ঠেকে। মে মাসের মাঝামাঝিতে উৎপাদন হয় মাত্র ২৫ মেগাওয়াট।

মে মাসের শেষ দিক থেকে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি কিছুটা বাড়তে শুরু করে। এতে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও দুটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়। তিন ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৮০ মেগাওয়াট।

জুলাই ও আগস্ট মাসে কয়েক দফা বৃষ্টিতে হ্রদের পানি বেড়ে যায়। এতে পর্যায়ক্রমে সব কটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়। বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটেই বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে।

কর্মকর্তারা জানান, কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল ( মিন সি লেভেল)। বর্তমানে হ্রদে পানির উচ্চতা রয়েছে ৯৮ দশমিক ২৫ ফুট এমএসএল। বছরের এই সময়ে পানি থাকার কথা ৯৪ দশমিক ৭৬ ফুট এমএসএল।

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের প্রথম আলোকে বলেন, পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট চালু রয়েছে। এখন ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পানি বেড়ে গেলে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন

সময় : ০৯:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ উৎপাদন বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট। কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেবল একটি একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হয়। এতে উৎপাদন সর্বনিম্নে গিয়ে ঠেকে। মে মাসের মাঝামাঝিতে উৎপাদন হয় মাত্র ২৫ মেগাওয়াট।

মে মাসের শেষ দিক থেকে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি কিছুটা বাড়তে শুরু করে। এতে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও দুটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়। তিন ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৮০ মেগাওয়াট।

জুলাই ও আগস্ট মাসে কয়েক দফা বৃষ্টিতে হ্রদের পানি বেড়ে যায়। এতে পর্যায়ক্রমে সব কটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়। বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটেই বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে।

কর্মকর্তারা জানান, কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল ( মিন সি লেভেল)। বর্তমানে হ্রদে পানির উচ্চতা রয়েছে ৯৮ দশমিক ২৫ ফুট এমএসএল। বছরের এই সময়ে পানি থাকার কথা ৯৪ দশমিক ৭৬ ফুট এমএসএল।

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের প্রথম আলোকে বলেন, পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট চালু রয়েছে। এখন ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পানি বেড়ে গেলে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।