১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বরখাস্ত

রিপোর্টার
  • সময় : ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪ বার দেখেছে

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জিমএম মাসুদ রানা জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে গত ১৯ নভেম্বর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন।

বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার একাধিক অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষ জিমএম মাসুদ রানা জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করে সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন।

বরখাস্তের চিঠি সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর উপজেলাধীন আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জি. এম. মাসুদ রানা জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গত ১৮ নভেম্বর তারিখে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, কলেজে নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ জিএম মাসুদ রানা জুয়েল ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি ও সাবেক কালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু। এছাড়াও তারা দুইজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় গত ২৪ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ ও কলেজ ফান্ডের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবার ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অধ্যক্ষ জিএম মাসুদ রানা জুয়েল প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার বিষয়টি তদন্ত কমিটি সত্যতা পায়।

আরো পড়ুনঃ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন, পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটিদের প্রতিবেদনে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় বিধিমতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বরখাস্ত

সময় : ১২:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জিমএম মাসুদ রানা জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে গত ১৯ নভেম্বর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন।

বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার একাধিক অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষ জিমএম মাসুদ রানা জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করে সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন।

বরখাস্তের চিঠি সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর উপজেলাধীন আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জি. এম. মাসুদ রানা জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গত ১৮ নভেম্বর তারিখে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, কলেজে নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ জিএম মাসুদ রানা জুয়েল ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি ও সাবেক কালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু। এছাড়াও তারা দুইজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় গত ২৪ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ ও কলেজ ফান্ডের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবার ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অধ্যক্ষ জিএম মাসুদ রানা জুয়েল প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার বিষয়টি তদন্ত কমিটি সত্যতা পায়।

আরো পড়ুনঃ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন, পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটিদের প্রতিবেদনে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় বিধিমতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।