১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মির্জাপুর আয়কর অফিসের ৪ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ

রিপোর্টার
  • সময় : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৮ বার দেখেছে

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপ কর কমিশনারের কার্যালয়ের (আয়কর অফিস) চার কর্মকর্তাকে একযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন- অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী আহমেদ সুবায়ের তুষার, আতিকুর রহমান ও পলাশ (২)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কর অঞ্চল গাজীপুরের কমিশনারের কার্যলয় থেকে এই চারজনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনার খালেদ শরীফ আরেফিন।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে ‘মির্জাপুরে আয়কর অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠ ‘ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরের দিনই চারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত উপ কর কমিশনারের কার্যালয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই কার্যালয়ে ঘুষ-বাণিজ্য চলছে বলে ভু্ক্তভোগীদের অভিযোগ।

আরো পড়ুনঃ আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
এই অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসি-এসপি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) ভুক্তভোগী অসহায় কয়েকজন গ্রাহক এ অভিযোগ তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই মির্জাপুর উপকর কমিশনার কার্যালয় কর অঞ্চল সার্কেল-২০ (গাজীপুর) অফিসটি অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। দুর্নীতির মূলহোতা হচ্ছেন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী আহমেদ সুবায়ের তুষার, স্ট্যানো পলাশ সরকার (১), আতিকুর রহমান ও পলাশ (২)সহ ৮-১০ জনের সিন্ডিকেট চক্র। এই চক্রটি বহিরাগত আরও ৬-৭ জন দালাল তৈরী করে তাদের মাধ্যমেও গ্রাহকদের জিম্মি করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

কেউ হয়রানির প্রতিবাদ করলেই তাদের নামে দুদকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ। এই কর অফিসে বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাসাবাড়ির মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শিল্পকারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিত্সকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আয়কর রির্টান জমা দিতে হয়। একটি ফাইলের বিপরীতে বিপুল অংকের টাকা তাদের ঘুষ দিতে হয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন।

শেয়ার করুন

মির্জাপুর আয়কর অফিসের ৪ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ

সময় : ০১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপ কর কমিশনারের কার্যালয়ের (আয়কর অফিস) চার কর্মকর্তাকে একযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন- অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী আহমেদ সুবায়ের তুষার, আতিকুর রহমান ও পলাশ (২)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কর অঞ্চল গাজীপুরের কমিশনারের কার্যলয় থেকে এই চারজনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনার খালেদ শরীফ আরেফিন।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে ‘মির্জাপুরে আয়কর অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠ ‘ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরের দিনই চারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত উপ কর কমিশনারের কার্যালয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই কার্যালয়ে ঘুষ-বাণিজ্য চলছে বলে ভু্ক্তভোগীদের অভিযোগ।

আরো পড়ুনঃ আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
এই অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসি-এসপি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) ভুক্তভোগী অসহায় কয়েকজন গ্রাহক এ অভিযোগ তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই মির্জাপুর উপকর কমিশনার কার্যালয় কর অঞ্চল সার্কেল-২০ (গাজীপুর) অফিসটি অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। দুর্নীতির মূলহোতা হচ্ছেন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী আহমেদ সুবায়ের তুষার, স্ট্যানো পলাশ সরকার (১), আতিকুর রহমান ও পলাশ (২)সহ ৮-১০ জনের সিন্ডিকেট চক্র। এই চক্রটি বহিরাগত আরও ৬-৭ জন দালাল তৈরী করে তাদের মাধ্যমেও গ্রাহকদের জিম্মি করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

কেউ হয়রানির প্রতিবাদ করলেই তাদের নামে দুদকে মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ। এই কর অফিসে বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাসাবাড়ির মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শিল্পকারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিত্সকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আয়কর রির্টান জমা দিতে হয়। একটি ফাইলের বিপরীতে বিপুল অংকের টাকা তাদের ঘুষ দিতে হয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন।