গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআরটিসি দোতলা পিকনিক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী মাহিন (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী, মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এসব নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিআরটিসি দোতলা চলন্ত বাসটি রাস্তার পাশ দিয়ে রিসোর্টে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা ছয়টি দোতলা বিআরটিসি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে ৪৬০ শিক্ষক শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া নামক রিসোর্টে রওনা হই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়খালী এলাকায় পৌঁছামাত্র ঢাকা মেট্টো ব-১৫৭০৩৮ বাসটিতে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক সার্ভস তারের সঙ্গে বাসের স্পর্শ হয়। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে মাহিন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওরা হলো মোজাম্মেল হোসেন ও জুবায়ের হোসেন শাকিব।
আরো পড়ুনঃ বৈরুতে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক দিয়ে বিআরটিসির দোতলা বাসটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ তারের সঙ্গে বাসের ছাদ লেগে যায়। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে অনেকেই হুড়োহুড়ি করে নেমে যায়। ওই সময় একজনের শরীর বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। মুখ চোখ নাক পুড়ে গেছে অনেকের। ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। বাকিদের উদ্ধার করে অটোরিকশা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করি।
ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিকবাহী বাসে বিদ্যুতায়ীত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।