১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ জন আহত

রিপোর্টার
  • সময় : ০৩:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার দেখেছে

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ও রাতে উপজেলার আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের নাজমুল হুদা রাজ (৪৫), বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩২), সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০) ও বাবু (৩৮), আলাউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং তাইজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২) কে নাটোর সদর হাসপাতালে এবং কায়েমকোলা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৫) ও জয়েন উদ্দিন (৩০) কে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (২৫) কে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জোয়াড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন সমর্থিত নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সী ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন সমর্থিত শহীদুল ইসলামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকালে এ ব্যাপারে মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক বসে। সালিশের এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে শহীদুল ইসলাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলে আব্দুর রশিদ মুন্সীর পাঁচ স্বজন আহত হন। পরে রাত আটটার দিকে জুলহাস উদ্দিনের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুলাল হোসেনের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আরো ছয় জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

দলীর সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় উভয় পক্ষেই পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরো পড়ুনঃ বিড়াল পোষা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নওপাড়া এলাকায় জমি মাপা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা দুলাল ও জুলহাস গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হাতাহাতি হয়। এ জেরে সন্ধ্যার পর আহমদপুর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিরাজুল আরও বলেন, সংঘর্ষে আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকলে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। থানায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

নাটোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ জন আহত

সময় : ০৩:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ও রাতে উপজেলার আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের নাজমুল হুদা রাজ (৪৫), বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর নওপাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩২), সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০) ও বাবু (৩৮), আলাউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং তাইজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২) কে নাটোর সদর হাসপাতালে এবং কায়েমকোলা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৫) ও জয়েন উদ্দিন (৩০) কে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (২৫) কে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জোয়াড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন সমর্থিত নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সী ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন সমর্থিত শহীদুল ইসলামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকালে এ ব্যাপারে মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক বসে। সালিশের এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে শহীদুল ইসলাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলে আব্দুর রশিদ মুন্সীর পাঁচ স্বজন আহত হন। পরে রাত আটটার দিকে জুলহাস উদ্দিনের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুলাল হোসেনের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আরো ছয় জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

দলীর সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় উভয় পক্ষেই পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরো পড়ুনঃ বিড়াল পোষা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নওপাড়া এলাকায় জমি মাপা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা দুলাল ও জুলহাস গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হাতাহাতি হয়। এ জেরে সন্ধ্যার পর আহমদপুর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিরাজুল আরও বলেন, সংঘর্ষে আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকলে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। থানায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।