০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ মাসেও সংস্কার হয়নি মসজিদে যাওয়ার রাস্তা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

রিপোর্টার
  • সময় : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৯ বার দেখেছে

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রায় তিনমাস আগে ভেঙে যাওয়া মসজিদে যাওয়ার রাস্তাটি সংষ্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছেন মুসল্লি ও রাস্তা ব্যবহারকারীরা। বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া উত্তরপাড়ার কয়েকগ্রামের যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া রাস্তাটি ব্যবহার করে স্থানীয়রা মসজিদ যায়। তবে গেল বন্যায় পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এতে ঝুকিঁ নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, যমুনার নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় স্রোতে প্রায় ২০ মিটার রাস্তা ভেঙে যায়। এতে গভীরতা তৈরি হলে বাঁশের সাঁকো করা হয়। রাস্তাটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষজন চলাচল করে। এছাড়াও মসজিদে যাওয়ার প্রধান রাস্তা এটি।

কয়েড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হচ্ছে। এরআগে ভেঙে পড়েছিল রাস্তাটি। কিন্তু সংস্কার বা বিকল্প রাস্তা তৈরিতে কোন জনপ্রতিনিধি উদ্যোগ নেননি।

আরো পড়ুনঃ আপনাদের ওপর সন্দেহ আসতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
এবিষয়ে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলোর তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

৩ মাসেও সংস্কার হয়নি মসজিদে যাওয়ার রাস্তা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সময় : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রায় তিনমাস আগে ভেঙে যাওয়া মসজিদে যাওয়ার রাস্তাটি সংষ্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছেন মুসল্লি ও রাস্তা ব্যবহারকারীরা। বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া উত্তরপাড়ার কয়েকগ্রামের যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া রাস্তাটি ব্যবহার করে স্থানীয়রা মসজিদ যায়। তবে গেল বন্যায় পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এতে ঝুকিঁ নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, যমুনার নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় স্রোতে প্রায় ২০ মিটার রাস্তা ভেঙে যায়। এতে গভীরতা তৈরি হলে বাঁশের সাঁকো করা হয়। রাস্তাটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষজন চলাচল করে। এছাড়াও মসজিদে যাওয়ার প্রধান রাস্তা এটি।

কয়েড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হচ্ছে। এরআগে ভেঙে পড়েছিল রাস্তাটি। কিন্তু সংস্কার বা বিকল্প রাস্তা তৈরিতে কোন জনপ্রতিনিধি উদ্যোগ নেননি।

আরো পড়ুনঃ আপনাদের ওপর সন্দেহ আসতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
এবিষয়ে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলোর তালিকা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. পপি খাতুন বলেন, বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।