পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজ শিক্ষার্থী, দুশ্চিন্তায় পরিবার
- সময় : ১১:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৩ বার দেখেছে
টাঙ্গাইলের সরকারি সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র তৌফিক হাসান (১৯) অপহরণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পাঁচ দিনেও অপহৃত মেধাবী ছাত্র তৌফিককে উদ্ধার হয়নি। এক মাত্র সন্তানকে না পেয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তৌফিকের পিতা-মাতা। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কৌশলে তৌফিকের বাবার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরও তাকে ফেরত দেয়নি তৌফিককে।
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের চুহাত্তর গ্রামে তৌফিক হাসানের বাড়ি। তার পিতার নাম মো. ইব্রাহীম মিয়া।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) তৌফিকের পিতা ইব্রাহীম মিয়া অভিযোগ করেন, গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি যাওয়ার পথে মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশনের পুষ্টকামুরী এলাকা থেকে তৌফিক অপহরণ হয়।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সারে ৭টার দিকে তৌফিকের সঙ্গে মোবাইলে তার সর্বশেষ কথা হয়। সে মোবাইলে জানায়, বাবা আমি কলেজ থেকে মির্জাপুর বাস স্টেশনে নেমে অটো রিকসায় বাড়ি আসছি। তুমি বাড়ির পাশে রাস্তায় থেকো। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ। সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাননি।
আরো পড়ুনঃবিচারের মুখোমুখি করতে হাসিনাকে দিল্লি ফিরিয়ে দিতে হবে: ড. ইউনূস
ইতিমধ্যে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মোবাইলে ও ম্যাসেঞ্জারে মাধ্যমে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরও তৌফিক হাসানকে ফেরত দেয়নি। একমাত্র সন্তানকে না পেয়ে দিশেহারা ইব্রাহিম মিয়া ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম। ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে মির্জাপুর থানায় এবং র্যাব টাঙ্গাইল অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইব্রাহীম মিয়া। র্যাব ও পুলিশ যৌথ ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাকে উদ্ধারের জন্য। ঘটনার চার দিন পার হলেও কোন সন্ধান করতে পারেননি বলে তিনি জানান।
যে কোন মূল্যে তার একমাত্র সন্ধানকে অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমিজ রায়হান বলেন, তৌফিক হাসানের পিতা ইব্রাহীম মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সূত্র ধরে তাকে উদ্ধারের জন্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।